বাংলাদেশে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় একদম অচল হয়ে পড়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন উপাচার্য এই অভিযোগেই মূলতঃ আন্দোলন। যদিও তিনি ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা অবৈধ পথে লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ছাত্র-শিক্ষকদের সম্মিলিত আন্দোলনের জেরে মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্য করে বুধবার দিনভর বিক্ষোভ হয়েছে। হলের গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়। ক্যান্টিনসহ আশপাশের হোটেলগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তিন মাস ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলছে। এক পর্যায়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামকে প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ করা হয়। এই অবস্থায় মঙ্গলবার শিক্ষকদের একটি অংশ এবং ছাত্রলীগের অ্যাকশনে উপাচার্য মুক্ত হন। এতে ৮ জন শিক্ষকসহ ২৫ জন আহত হন। পরে উপাচার্য ছাত্রলীগের কাছে কৃতজ্ঞতা জানান।
পরিস্থিতি শান্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এতেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। বুধবার সকাল থেকেই ছাত্র-শিক্ষকরা উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে জড়ো হন। আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র দর্শন বিভাগের অধ্যাপক রায়হান রাইন বলেন, উপাচার্য নৈতিকতার মানদন্ডে পরাজিত। তাকে সরে যেতে হবে। তা না হলে আন্দোলন চলবে।
সর্বশেষ আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দিয়েছেন, তাদের কর্মসূচি চলতে থাকবে। প্রশাসন বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে বন্ধ সেখানে আন্দোলনের সুযোগ কোথায়?