শৈত্যপ্রবাহের কবলে বাংলাদেশের উত্তরের জেলা নওগাঁ। জানুয়ারির প্রথমে তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকলেও এক দিনের ব্যবধানে শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন বাংলাদেশেরও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এটি।
নওগাঁর বদলগাছী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, সকাল ৯টায় জেলায় ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহ বইছে।
তাপমাত্রা আগামী কয়েক দিন এই রকমই থাকবে এবং আরও নিচের দিকে নেমে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।
নওঘাঁয় দিনে কিছু সময় সূর্যের দেখা মিললেও শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলায় কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে।
হিমেল বাতাসে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কাজকর্ম। সূর্য পশ্চিম দিকে গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে শীত। এর ফলে কিছুটা বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্নআয়ের মানুষ। এর আগে বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি। সকালে বৃষ্টির মতো ঝিরঝির করে কুয়াশা পড়েছে।
শৈত্যপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা
এদিকে চুয়াডাঙ্গায় একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে শুরু হয়েছে চলতি মৌসুমের দ্বিতীয় শৈত্যপ্রবাহ।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।
হাড় কাঁপানো শীত ও উত্তরের হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার জনপদ। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, বুধবার (৮ জানুয়ারি) এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এক দিনের ব্যবধানে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে জেলার তাপমাত্রার পারদ নেমে এসেছে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে।
চুয়াডাঙ্গায় শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এ অবস্থায় কষ্টে আছে শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষেরা।
চুয়াডাঙ্গা শহরের চৌরাস্তার মোড়ের চা দোকানি আশরাফুল ইসলাম বলেন, “জব্বর (খুব) শীত পড়ছে। সবকিছু ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে। সকাল-সন্ধ্যা কুয়াশা আর শীত। বেচা-কেনা নেই। খুব কষ্টে আছি।”
চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্ট মোড় এলাকার পুরোনো কাপড় বিক্রেতা হাবু মিয়া বলেন, “শীতের শুরুতে বেচা-কেনা তেমন ছিল না। এখন বিক্রি বাড়ছে।”
শীতার্ত ও অসহায় মানুষের মধ্যে কম্বলসহ শীতের গরম কাপড় বিতরণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানান চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, এ মৌসুমে এ জেলায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি এ যাবতকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩ দশমিক ৯ ডিগ্রি।