ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ মঙ্গলবার বলেন, হামাস জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গাজার ওপর ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
কাটজ এক্স-এ এক পোস্টে বলেন, গাজায় হামাসের সামরিক ও সরকারি সক্ষমতা ধ্বংস করার পর ইসরাইল গাজার ওপর নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ পাবে এবং যেকোনো পদক্ষেপ নেয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা পাবে।
তিনি গাজার দৃষ্টিভঙ্গিকে অধিকৃত পশ্চিমতীরের পরিস্থিতির সাথে তুলনা করেছেন, যেখানে ইসরায়েলি বাহিনী নিয়মিতভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ব্যাহত করার লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করে।
ইসরায়েল বলেছে, তাদের যুদ্ধের লক্ষ্য হচ্ছে হামাসের সামরিক পরাজয় নিশ্চিত করা এবং ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের মতো জঙ্গিরা যেন ইসরায়েলে হামলা চালাতে না পারে তা নিশ্চিত করা।
গাজায় ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও অন্যদের যুদ্ধোত্তর দৃষ্টিভঙ্গির পরিপন্থী।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন অক্টোবরে বলেন, গাজার যুদ্ধ এমনভাবে শেষ হওয়া দরকার “যাতে হামাসকে দূরে রাখা যায় এবং ইসরাইল যাতে গাজায় অবস্থান না করে তা নিশ্চিত করা যায়।”
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস সেপ্টেম্বরে বলেন, জাতিসংঘ মনে করে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ যারা পশ্চিম তীরের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করে তারা গাজায় কর্তৃত্ব গ্রহণ করবে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মঙ্গলবার জানায়, গাজা সিটিতে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী দক্ষিণ গাজায় অভিযানের সময় তাদের দুই সেনা নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে।
ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহতরা ছাড়াও জঙ্গিরা প্রায় ১০০ জনকে জিম্মি করেছে, যাদের অন্তত এক তৃতীয়াংশ নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় বেসামরিক মানুষ ও যোদ্ধাদের মধ্যে পার্থক্য না করলেও এর আগে তারা জানিয়েছিল, নিহতদের অর্ধেকই নারী ও শিশু।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।