অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বেইজিংয়ের আরও সক্রিয় ভূমিকা চায় ঢাকা


পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন

বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীনের আরও সক্রিয় ভূমিকা চেয়েছে কারণ ঢাকা মনে করে মিয়ানমারের ওপর চীনের অনেক প্রভাব রয়েছে।

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে চীন বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, "মিয়ানমারের ওপর চীনের অনেক প্রভাব রয়েছে। এই বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা চীনের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করছি।"

রোহিঙ্গা সংকটকে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকায় এক সেমিনারে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, "আমরা জানি একটিই সমাধান আছে- আর তা হলো তাদের (রোহিঙ্গাদের) নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে- মিয়ানমার।"

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করে হোসেন বলেন, অনেক সময় অন্য সমাধানের পরামর্শ দেওয়া হয়, কিন্তু সেসব সমাধানের কোনোটিই কার্যকর নয়।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় এবং তাদের অধিকার ও নিরাপত্তা দিয়ে তাদের প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে হবে।

হোসেন জোর দিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও চীন সবসময় একে অপরের সঙ্গে সমতার সঙ্গে আচরণ করে এবং একে অপরকে সমর্থন দিয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান ও লাভজনক সহযোগিতার একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ সৃষ্টি করে।

চীনা দূতাবাস সেন্টার ফর চাইনিজ স্টাডিজ (এসআইআইএস-ডিইউ) এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) -এর সহযোগিতায় 'বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক: একটি ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি' শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও আন্তর্জাতিক সমাধানের গুরুত্ব তুলে ধরে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ সমস্যার সমাধান বাংলাদেশের একার পক্ষে সম্ভব নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাতেও রয়েছে।

সাত বছর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।

বাংলাদেশ এখন কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে।

২০২৪ সালে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশপাশের সম্প্রদায়ের বাংলাদেশিসহ ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে সহায়তার জন্য ৮৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের আবেদন করে।

ইউএনএইচসিআর’র মতে, এই আবেদনটির পরিপ্রেক্ষিতে এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত অর্থায়ন করা হয়নি।

XS
SM
MD
LG