বাংলাদেশের নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেছেন, দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন হলেই নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করবে।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) শপথ গ্রহণ শেষে তিনি আগারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের এ’কথা বলেন।
সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য “যা করা দরকার” কমিশন তাই করবে, বলেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
"আমি এই দায়িত্বকে জীবনের একটি অপরচুনিটি (সুযোগ) হিসেবে দেখছি। দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। তারা ফ্রি ফেয়ার একটা ইলেকশনের জন্য সংগ্রাম করেছে, অনেক আন্দোলন করেছে; বিগত বছরগুলোতেও অনেকে রক্ত দিয়েছে," নাসির উদ্দীন সাংবাদিকদের বলেন।
গত ৫ অগাস্ট ব্যাপক আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবী উঠে। পূর্ববর্তী প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আওায়াল এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা ৫ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এএমএম নাসির উদ্দীনকে প্রধান করে নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগ করা হয়।
নতুন ভোটার তালিকা
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে কেমন সময় লাগবে, এমন এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, "সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচন করতে গেলে কিছু প্রয়োজনীয় সংস্কার লাগবে।"
ভোটার লিস্ট নতুন করে তৈরির কথা বলছেন তিনি যেখানে তরুণ সমাজকে নিয়ে ভোটার তালিকা থাকবে।
সংস্কার কমিটির সুপারিশের জন্য নির্বাচন কমিশন আগ্রহের সাথে অপেক্ষা করছে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
রবিবার দুপুরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)-সহ বাকি চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) শপথ নেন।
অন্য চার নির্বাচন কমিশনার হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও সেশন জজ আব্দুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।