বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছ থেকে লাইসেন্স নেওয়াসহ ১১ দফা দাবিতে রবিবার (২৪ নভেম্বর) আবারও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে নামে নিষিদ্ধ ব্যাটারি-চালিত রিকশার চালকরা।
বিক্ষোভকারীরা জাতীয় প্রেসক্লাব, যাত্রাবাড়ী, বেড়িবাঁধ ও তিন রাস্টার মোড়ের কাছে বেশ কয়েকটি সড়ক অবরোধ করে।
রবিবার সকালে শত শত অটোরিকশার চালক ঢাকার প্রবেশ পথ বেড়িবাঁধে জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের দিকে যাত্রা করে।
এ ছাড়া ঢাকার অন্যান্য এলাকা থেকে আসা চালকরা জাতীয় প্রেসক্লাবে জড়ো হয়ে তাদের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবরোধের ফলে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) হাইকোর্ট জননিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে রাজধানীর রাস্তায় অটোরিকশা (ব্যাটারি-চালিত রিকশা) চলাচল নিষিদ্ধ করে আদেশ দেয়।
'আওয়ামী লীগ সদস্য'
বিআরটিএ'র লাইসেন্স পাওয়া ও তাদের যানবাহনকে গণপরিবহন হিসেবে স্বীকৃতি এবং এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হওয়া সহকর্মীদের মুক্তিসহ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী ইফতেখার হাসান বলেন, রবিবার “যৌক্তিক কারণ ছাড়াই” অটোরিকশাচালকরা সড়ক অবরোধ করে।
বিক্ষোভকারীদের “আওয়ামী লীগ সদস্য” উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার কয়েকশ’ অটোরিকশাচালক ঢাকার বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে রেখেছিল।
আন্দোলনকারীরা দুই দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছিল, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আন্দোলনকারীরা রবিবার রাস্তায় নামেন।