বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার পর্যবেক্ষক দল পর্যক্ষেণ শেষে চলে যাওয়ার পরই বনানী কাঁচাবাজারে আবারও বেড়েছে সবজি, মুরগি, গরুসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।
পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন কাঁচা পণ্যের দাম ১৫ থেকে ৫০ টাকা কমে যায়, কিন্তু পর্যবেক্ষক দল বাজার ছাড়ার পর আবারও আগের বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সুলতানা আক্তারের নেতৃত্বে বাজার পরিদর্শন করা হয়।
বাজার পর্যবেক্ষণের সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাজার পরিদর্শনকালে দেখা যায়, বিভিন্ন দোকানে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা, খাসির মাংস ১ হাজার টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২০০ টাকা, সোনালী মুরগি ২৮০ টাকা, ডিম প্রতি ডজন ১৬০ টাকা, আলু ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচ ২৮০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১১৫ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কর্মকর্তারা বাজার ছাড়ার পরপরই গরুর মাংসের দাম বেড়ে ৭৮০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা, সোনালী মুরগি ৩০০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি করতে থাকেন ব্যবসায়ীরা।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে এক ব্যবসায়ী বলেন, জরিমানা এড়াতে পরিদর্শনের সময় তারা মন্ত্রণালয়ের মূল্য তালিকা মেনে চলতে বাধ্য হন।
তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারিত দাম মেনে চলার জন্য আমাদের সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু এই দামে বিক্রি করা মানে আমরা কেবল আমাদের খরচ মেটাতে পারি।’
জয়নাল আরও বলেন, ‘পাইকারি মূল্য বাধ্যতামূলকতার চেয়ে বেশি এবং এখানে আমাদের কোনও দোষ নেই। পাইকারি সিন্ডিকেট আগে ভাঙতে হবে। তা না হলে এ ধরনের পরিদর্শনে আমাদের মতো খুচরা ব্যবসায়ীদের অসুবিধায় পড়তে হবে।’
জয়নাল আবেদীন বলেন, বনানী কাঁচাবাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী পর্যবেক্ষক দলের পরিদর্শনের বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন, পরিদর্শনকালে 'উপযুক্ত' মূল্য প্রস্তুত ও প্রদর্শনের সুযোগ করে দেন তারা।