ভারতে ৩ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতির প্রতিবাদে অন্তর্বর্তী সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে ইলিশ রপ্তানির বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
অন্যথায় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হবে।
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আমদানি-রপ্তানির কার্যালয়ের প্রধান নিয়ন্ত্রককে এ আইনি নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পদ্মার সব ইলিশ ভারতে রপ্তানি ও পাচার হওয়ার কারণে বাংলাদেশের জনগণ বাজারে গিয়ে পদ্মার ইলিশ পায় না। ফলে বাংলাদেশের জনগণকে সামুদ্রিক ইলিশ খেতে হয়, যা পদ্মার ইলিশের মতো সুস্বাদু নয়।
আইনি নোটিশে আরও বলা হয়েছে, পদ্মায় যে সীমিত পরিমাণ ইলিশ পাওয়া যায়, তা দেশের মানুষের জন্য যথেষ্ট নয়। এভাবে বাংলাদেশের জনগণকে পদ্মার ইলিশ থেকে বঞ্চিত করে ভারতের জনগণকে পদ্মার ইলিশ খাওয়ানো সরকারের জন্য সমীচীন নয়। এ কথা সত্য যে, বাংলাদেশ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্র ভারত থেকে আমদানি করে থাকে, কিন্তু ভারত সরকার কখনোই তার নিজের দেশের জনগণের চাহিদা না মিটিয়ে বাংলাদেশে কোনো পণ্য রপ্তানি করে না। বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী ইলিশ মাছ মুক্তভাবে রপ্তানি যোগ্য কোনো মাছ নয়। এ অবস্থায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছে।
আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুথানের মধ্য দিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। দেশের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও জনগণের স্বার্থ রক্ষা করা এই সরকারের প্রধান কাজ। কিন্তু বাংলাদেশের আপামর জনগণকে বঞ্চিত করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতিদানের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের জনগণের সঙ্গে বেইমানি করেছে।