প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে জায়গা করে ইতিহাস গড়েছেন ৪৭ বছর বয়সী শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বার্ষিক পর্যালোচনার পর এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার ক্রিকেটার ওয়াসিম খান (চেয়ারম্যান), সঞ্জয় মাঞ্জরেকার (সাবেক খেলোয়াড় ও ধারাভাষ্যকার), টনি হিল (অবসরপ্রাপ্ত আম্পায়ার) এবং মাইক রিলেকে (পরামর্শক কর্মকর্তা বিশেষজ্ঞ) নিয়ে গঠিত একটি নির্বাচক প্যানেল শরফুদ্দৌলাকে পদোন্নতির জন্য বাছাই করেছেন।
২০১০ সালে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মিরপুরের ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক হয় শরফুদ্দৌলার। এখন পর্যন্ত পুরুষদের ১০টি টেস্ট, ৬৩টি ওয়ানডে ও ৪৪টি টি-টোয়েন্টিতে অন-ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন। এর পাশাপাশি মেয়েদের ১৩টি ওয়ানডে ও ২৮টি টি-টোয়েন্টিতেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি আইসিসি নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ (২০১৭ ও ২০২১), আইসিসি পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ এবং আইসিসি নারী টি২০ বিশ্বকাপ ২০১৮ এর মতো বড় টুর্নামেন্টেও অংশ নিয়েছেন।
মূলত দক্ষিণ আফ্রিকার মারাই এরাসমাস অবসরে যাওয়ার পর থেকে শরফুদ্দৌলার এলিট প্যানেলে ঢোকার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
শরফুদ্দৌলা বলেন, “আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়াটা অনেক সম্মানের। এই প্যানেলে আমার দেশ এটিই প্রথম। তাই এটিকে আরও বিশেষ পাওয়া। আমার প্রতি তারা যে আস্থা রেখেছেন, আমি তার মর্যাদা রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”
তিনি আরও বলেন, “আমাকে ও আমার অন্য সতীর্থদের প্রতি তাদের সার্বিক সহায়তা, দিকনির্দেশনা ও সমর্থন করার জন্য আমি আইসিসি ও বিসিবিকে ধন্যবাদ জানাই। আমি আমার পরিবার এবং বন্ধুদেরও ধন্যবাদ জানাতে চাই- যারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন এবং আমাকে সমর্থন করেছেন।”
আইসিসির এলিট প্যানেল আম্পায়ার
কুমার ধর্মসেনা (শ্রীলঙ্কা), ক্রিস্টোফার গ্যাফানি (নিউজিল্যান্ড), মাইকেল গফ (ইংল্যান্ড), আদ্রিয়ান হোল্ডস্টক (দক্ষিণ আফ্রিকা), রিচার্ড ইলিংওর্থ (ইংল্যান্ড), রিচার্ড কেটেলবরো (ইংল্যান্ড), নিতিন মেনন (ভারত), আহসান রাজা (পাকিস্তান), পল রাইফেল (অস্ট্রেলিয়া), রডনি টাকার (অস্ট্রেলিয়া), জোয়েল উইলসন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ও শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ (বাংলাদেশ)।