আগামী ২০২৪ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে লোকসভা নির্বাচন। গত শুক্রবার ২২ ডিসেম্বর দিল্লিতে বিজেপির নির্বাচন সক্রান্ত দুদিনের বৈঠক আয়োজিত হয়।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শেষ হয়েছে। সংসদ সদস্যরা যে যার রাজ্যে ফিরে যাওয়ার আগে নির্বাচন সক্রান্ত আলোচনা সেরে নেওয়ার জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয়, যাতে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতিরাও।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বৈঠকে স্পষ্ট করে দেন, দুটি বিষয়কে বিজেপির প্রচারে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিতে হবে।
এক, মোদী সরকারের দশ বছরের কাজ। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বলতে হবে মানুষ কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। কাউকে বঞ্চনা করা হয়নি। সরকারের 'সবকা সাথ', এই ঘোষণা কাজের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপি সরকারের কথা ও কাজে ফারাক নেই মানুষকে এটা বোঝাতে হবে। তার পরামর্শ, সোশ্যাল মিডিয়ায় কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্তদের কথা প্রতিদিন প্রচার করতে হবে সব নেতা, সাংসদকে।
দুই, সরকার দরিদ্র, যুব, মহিলা ও কৃষকের স্বার্থে কাজ করেছে এবং করে যাবে, এই কথাটি বেশি করে প্রচার করতে হবে।
বিরোধীদের কাস্ট সেন্সাস বা জাতিগত সমীক্ষা ও সংরক্ষণের দাবির মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী মোদী সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে বারেবারেই দরিদ্র, যুব, মহিলা ও কৃষকের স্বার্থ রক্ষার কথা বলেছেন।
লোকসভা ভোটেও একই কৌশল প্রয়োগ করতে চাইছেন তিনি। দলকে সেই পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বিজেপি যেহেতু দশ বছর ভারতের কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে তাই কাজের খতিয়ানই হবে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের প্রধান অস্ত্র।
এই ভাবনাকে মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে নতুন স্লোগান - 'স্বপ্নে নহি হকিকত বনতে হ্যায়, ইসলিয়ে তো সব মোদী কো চুনতে হ্যায়।'
অর্থাৎ মোদীর কথা বাস্তবে প্রতিফলিত হয় বলেই মানুষ তাকে বারে বারে নির্বাচিত করে।