দিল্লি হাইকোর্ট মঙ্গলবার ১৯ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই-কে নির্দেশ দিয়েছে আদানি শিল্লগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত করার। আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমদানিকৃত কয়লার খরচ অনেক বেশি দেখানোর।
এই নিয়েই একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল আদালতে। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট সিবিআই-এর সঙ্গে একই নির্দেশ দিয়েছে ডিআরআই তথা ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্সকেও।
আদানি গোষ্ঠী ছাড়া এসার গ্রুপ-সহ আরও বেশ কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে। সেই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধেও একইভাবে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ফিন্যান্সিয়াল টাইমস-এ আদানি গোষ্ঠীর কয়লা আমদানি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে লেখা হয়, আদানি গোষ্ঠী বিদেশ থেকে ৫০০ কোটি ডলার মূল্যের কয়লা বাজারদরের তুলনায় দ্বিগুণ দামে আমদানি করেছে।
সেই প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয় যে, আদানি গোষ্ঠী কাগজে-কলমে তাদের আমদানিকৃত কয়লার খরচ বেশি করে দেখিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লার জাহাজ ছাড়ার সময় তার যা মূল্য ছিল, ভারতে সেই জাহাজ পৌঁছনোর পরে সেটারই দাম দ্বিগুণ বলা হয়।
সেই কয়লার দামের ভিত্তিতেই ঠিক হয় বিদ্যুতের মাশুল। অর্থাৎ এর ফলে বিদ্যুতের অতিরিক্ত দাম দিতে হচ্ছে দেশের সাধারণ নাগরিকদের।
এই নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে আগেই দু’টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। মঙ্গলবার সেই মামলাগুলির শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্টের তরফে সিবিআই ও ডিআরআই-কে বিচারপতি তদন্তের নির্দেশ দেন।
তদন্তের নির্দেশ দিয়ে সিবিআইকে বিচারপতি বলেন, যদি অভিযুক্ত সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ মেলে, তাহলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।