উত্তর-পূর্ব ভারতের অশান্তি যেন থামছে না। মণিপুরের পর এবার অশান্ত পার্শ্ববর্তী রাজ্য মেঘালয়।
সোমবার ২৪ জুলাই মেঘালয়ের তুরা-এ মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার অফিস লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে থাকে উত্তেজিত জনতা। মুখ্যমন্ত্রী তখন অফিসেই ছিলেন। তিনি আহত হননি। কিন্তু পাথরের আঘাতে পাঁচ জন নিরাপত্তা রক্ষী আহত হয়েছেন বলে সংবাদ সূত্রে জানা গেছে।
কয়েক মাস আগে মেঘালয়ে নির্বাচনের পর নতুন জোট সরকার তৈরি হয়েছে। এনপিপি নেতা কনরাড সাংমার সঙ্গে জোট হয়েছে বিজেপির। অর্থাৎ মোদী-শাহর কথামতো মেঘালয়েও এখন 'ডবল ইঞ্জিন' সরকার চলছে।
মেঘালয়ের রাজধানী শহর শিলং। কিন্তু গারো পাহাড়ের অধিবাসীদের দাবি, তুরা-কে মেঘালয়ের শীতকালীন রাজধানী বানাতে হবে। এই দাবি নিয়ে একটি গোষ্ঠী অনশন আন্দোলন চালাচ্ছে। তাদেরই একাংশের সঙ্গে এদিন বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।
তুরা-এ মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় রয়েছে। সেখানে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতা ও প্রতিনিধিকে ডাকা হয়েছিল। আবার সেখানে সার্কিট হাউজেও একটি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন সাংমা।
প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে শান্তিপূর্ণভাবেই বৈঠক চলছিল। হঠাৎ উত্তেজিত জনতা মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের উপর চড়াও হয়ে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। কিন্তু এরই মধ্যে পাথরের আঘাতে পাঁচ জন নিরাপত্তা রক্ষী আহত হন।
দীর্ঘ সময় মু্খ্যমন্ত্রী তুরার অফিসে আটকে থাকেন এবং পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসতেও সময় লাগে।