পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে ভারতে প্রবেশের দরজা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ভারতের পর্যটন ভিসা খুলে দেওয়া হচ্ছে ১৫ অক্টোবর থেকে। তবে এখনই বাণিজ্যিক বিমানে করে যাওয়ার অনুমতি পাওয়া যাবে না। এখন যারা পর্যটক ভিসা পাবেন তাদের যেতে হবে চার্টার্ড ফ্লাইটে। সাধারণ মানুষের জন্য পর্যটনের দরজা খুলবে ১৫ নভেম্বর। বাণিজ্যিক প্লাইটে করে ১৫ নভেম্বর থেকে সবাই ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন।
ভারতের আয়ের একটি বড় অংশ পর্যটন খাত থেকে আসে। করোনার কারণে ট্যুরিস্ট ভিসা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশ থেকে মেডিকেল ও বিজনেস ভিসা চালু ছিল। ভিসার সুযোগ সাংবাদিকরাও পেতেন। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতা, মুম্বাই, দিল্লি, মাদ্রাজ ও ব্যাঙ্গালুরুসহ বিভিন্ন শহরে যান। সবচেয়ে বেশি মানুষ যান পর্যটনে।
কলকাতা থেকে সাংবাদিক দীপক দেবনাথ জানান, পর্যটন ভিসা খুলে দেওয়ার খবরে সবচেয়ে বেশি খুশি কলকাতার নিউমার্কেট এলাকার বাসিন্দারা। গত প্রায় দুই বছর তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। এ এলাকার হোটেল, শপিং, কেনাকাটার বেশির ভাগ গ্রাহক বাংলাদেশি। দিল্লি থেকে গৌতম লাহিড়ি জানান, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার পর্যটন ভিসা খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর আগে স্বরাষ্ট্র, বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আলাদা করে বৈঠক করেন। বৈঠকে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পর্যটন ভিসা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এদিকে ভারত সরকার টিকা রপ্তানির ওপরও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। পুনের সিরাম ইনস্টিটিউটকে বাংলাদেশ, নেপাল ও মিয়ানমারে কোভিশিল্ড রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।