আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তির দূত জালমে খলিলজাদ গতকাল বলেন যে ঐ যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে সম্প্রতি সহিংসতা অনেক বেড়ে গেছে কিন্তু তালিবান বিদ্রোহের বিরুদ্ধে আফগান বাহিনীর এই লড়াইয়ে ২০১৯ সালের তূলনায় হতাহতের সংখ্যা এখন ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ কম। আফগানিস্তানে আপোষ আলোচনার ব্যাপারে এই বিশেষ প্রতিনিধি আরও উল্লেখ করেন যে প্রায় ১৯ বছর ব্যাপী আফগান যুদ্ধ পরিসমাপ্তির লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র বিদ্রোহীদের সঙ্গে ফেব্রুয়ারি মাসে যুগান্তকারী চুক্তি স্বাক্ষরের পর তালিবান কোন আমেরিকান কিংবা জোট বাহিনীর সৈন্যকে হত্যা করেনি। আফগান বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের এই দূত এ ও বলেন যে একই সময়ের জন্য গতবছরের তূলনায় এ বছর অসামরিক লোক হত্যার সংখ্যাও কম।
তবে সংঘাত সম্পর্কে খলিলজাদের এই মূল্যায়ন আফগান কর্তৃপক্ষের বক্তব্যের বিপরীত। তারা বলছে যে যুক্তরাষ্ট্র ও তালিবানের মধ্যে চুক্তির পর বিদ্রোহীদের সহিংসতা প্রচন্ড পরিমাণে বেড়ে গেছে এবং এর ফলে সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর শত শত সদস্য এবং অসামরিক লোকজন প্রাণ হারিয়েছে। খলিলজাদ অবশ্য এ নিয়ে আক্ষেপ করেন যে এই সংঘাতে আফগানিস্তানের সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত আলোচনায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ধরণের সহিংসতা এবং কাবুল সরকার ও তালিবানের মধ্যে বন্দি বিনিময়ে বিলম্ব।
খলিলজাদ বলেন বর্তমানে যে ভাবে সহিংসতা চলছে , ট্রাম্প প্রশাসন তাতে অসন্তুষ্ট এবং এই সহিংসতা হ্রাসের জন্য আফগানিস্তানের বৈরি পক্ষের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। আফগানিস্তানের জাতীয় সুরক্ষা পরিষদের একজন মুখপাত্র জাভেদ ফায়সাল বাহ্যত খলিলজাদের মন্তব্যের জবাবে আজ এক টুইট বার্তায় বলেছেন বিদ্রোহীদের সহিংসতা কমেনি । তিনি লেখেন এই এক সপ্তায় সন্ত্রাসীদের ৪০১টি আক্রমণে তালিবানরা ৪৬ জন অসামরিক লোককে হত্যা এবং ৯৩ জনকে আহত করেছে।