জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা, রাজধানীতে নতুন করে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় টোকিও এবং তার চারপাশের অন্তত তিনটি জেলায় জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। এই আদেশ আগামিকাল শুক্রবার থেকে বলবৎ হবে এবং তা সাতই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এই এলাকাগুলোর লোকজনকে রাত আটটার পর বাড়িতে থাকতে বলা হচ্ছে এবং ঐ একই সময়ে রেস্টুরেন্ট ও পানশালাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই মহামারি শুরু হবার পর থেকে বুধবারের এই ঘোষণা ছিল জরুরি অবস্থা বিষয়ক দ্বিতীয় ঘোষণা। এর আগে গত বছর এপ্রিল মাসে তদানীন্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে তিরিশ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন। তবে এই কোন ঘোষণাই সারা দেশের জন্য আইনত বাধ্যতামূলক লক ডাউন করতে পারে না, কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর সময় থেকে জাপানের সংবিধান জনগণের স্বাধীনতাকে জোর সমর্থন করে আসছে।
টোকিও আজ জানিয়েছে, সেখানে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ২,৪৪৭ জন কভিড ১৯ এ সংক্রমিত হয়েছেন। গোটা দেশে বুধবার একদিনেই নতুন করে ৬,০০০ লোক সংক্রমিত হলে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। এ দিকে জন্স হপকিন্স করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টার জানাচ্ছে যে, গতকাল একদিনেই যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড সংখ্যক ৩,৮৬৫ জন কভিড-১৯ এ মারা গেছেন। গতকাল হাসপাতালে একদিনেই ১,৩২,৪৭৬ জন ভর্তি হওয়ায় এই ব্যাপারেও এর আগের দিনের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। ক্রমবর্ধমান হারে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর কারণে ট্রাম্প প্রশাসন করোনাভাইরাসের টীকা বিতরণের কাজ তরান্বিত করেছে।
স্বাস্থ্য ও মানবিক সেবা বিভাগের মন্ত্রী অ্যালেক্স আজার ঘোষণা করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে বড় বড় খুচরা দোকানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ৪০,০০০ ওষুধের দোকানে তাঁরা এই টীকা পাঠাচ্ছেন।