মাদক মামলায় অভিনেত্রী পরীমনিকে তিনবার রিমান্ড দেওয়ার মতো আদেশ ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলে মন্তব্য করেছে হাই কোর্ট। আদালত বলছে, আইনি ভিত্তি ছাড়া পুলিশ কাউকে রিমান্ডে চাইতে পারে না। পুলিশ বিভাগের বোঝা উচিত, মানুষের জীবন অত্যন্ত মূল্যবান।
পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ডে নেয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা এক আবেদনের লিখিত আদেশে গতকাল বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাই কোর্ট বেঞ্চ এসব কথা বলে। পাঁচ পৃষ্ঠার লিখিত আদেশে হাইকোর্ট বলেছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা ভঙ্গ করে তদন্তকারী কর্মকর্তা পরীমনিকে তিনবার রিমান্ডে নিয়েছেন। যেখানে প্রথমবারই রিমান্ডে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার যথেষ্ট সময় পেয়েছেন।
গত ২৬শে আগস্ট পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলার জামিন আবেদনের ওপর দ্রুত শুনানি করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে হাই কোর্ট। সেই সঙ্গে লম্বা সময় পর ১৩ই সেপ্টেম্বর জামিন শুনানির বিষয়ে দিন নির্ধারণের আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তাও জানতে চায় আদালত।
১লা সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয় এবং ওই দিন পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করে হাই কোর্ট। উচ্চ আদালতের আদেশের পর গত ৩১শে আগস্ট জামিন হয় পরীমনির। ১লা সেপ্টেম্বর কারামুক্ত হয়ে বনানীর বাসায় ফেরেন তিনি।
এর আগে গত ৪ঠা আগস্ট প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ পরীমনি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। পরের দিন পরীমনিকে সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির করে তাকে গ্রেফতারের কারণ জানানোর পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা করে বাহিনীটি। এরপর পরীমনিকে তিন দফায় সাত দিন রিমান্ড শেষে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।