ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আজ বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়ে অনুসন্ধানের ভার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। গত জুন মাসের মাঝামাঝি নাগাদ সুশান্তের দেহ তাঁর নিজের বাড়িতে শোবার ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। প্রথমে সেটাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে হলেও পরে তা নিয়ে প্রচণ্ড তোলপাড় হয়। বিহারের পাটনায় সুশান্ত সিংয়ের পরিবার দাবি করে, এটা আত্মহত্যা নয়, খুন। এই ব্যাপারে তাঁরা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করলে তিনি পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সুশান্তের বাবা তখন পাটনা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়ে এই ঘটনার তদন্ত চান। তবে মহারাষ্ট্র সরকার ও মুম্বাই পুলিশ প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে একটা কঠোর অবস্থান নিয়ে চলছিল। তারা কিছুতেই বিহার পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতায় রাজি ছিল না। ইতিমধ্যে বলিউড দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায়। একটা মহলের মতে অবসাদ ও বিষন্নতার শিকার হয়ে সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন। অন্যরা তার বিরোধিতা করে বলেন, বলিউডের প্রভাবশালী কিছু লোকের জন্য সুশান্ত অনেক ভুগেছেন কিন্তু উঠতি নায়কের জীবনে এমনটা হতেই পারে। এই কারণে আত্মহত্যার প্রশ্নই ওঠে না। নানা দিকে দাবি ওঠে, "সুশান্তের জন্য বিচার চাই!" শুরু হয়ে যায় রাজনৈতিক দড়ি টানাটানির খেলা। এই করোনা কালেও প্রতিদিনই সংবাদ মাধ্যমের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে সুশান্ত সিং সমাচার। দু'মাসের ওপর এই নিয়ে টানাপোড়েনের পর অবশেষে আজ সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের প্রয়োজন আছে। পাটনা পুলিশ এ ব্যাপারে ঠিক পথেই চলছে এবং সুশান্ত সিং রাজপুতের বাবা তাদের কাছে প্রাথমিক অভিযোগ জানিয়ে ঠিক কাজই করেছেন। এখন মহারাষ্ট্র ও মুম্বাই পুলিশ যেন তাদের হাতে যা কিছু প্রমাণপত্র আছে সব সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয়। সর্বোচ্চ আদালতের এই নির্দেশে সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবার সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছে, এতদিনে সুবিচার পাওয়ার আশা জাগছে।