জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে যোগ দিতে আজ ১৯ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে পৌঁছোবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জেএফকে বিমানবন্দরে বাংলাদেশ দূতাবাসের কূটনীতিকবৃন্দ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তাঁকে স্বাগত জানাবেন। ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনি নিউইয়র্কে অবস্থান করবেন এবং যোগ দেবেন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
শেখ হাসিনা এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশে বাংলাদেশ বিমানের ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন। পথে তিনি ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কিতে দুই দিনের যাত্রাবিরতি করেন। ফিনল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীরা ছাড়াও রয়েছেন শেখ রেহানা পুত্র ববি সিদ্দিকী।
প্রধানমন্ত্রী ২০ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে কর্মব্যস্ত সময় অতিবাহিত করবেন। তিনি ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দফতরে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। বিগত বছরগুলোর মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ হবে বাংলাতে। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের জাতির পিতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবা শেখ মুজিব বাংলাতেই ভাষণ দিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা পিতার সেই রেওয়াজ অনুযায়ী প্রতিবছর বাংলাতে বক্তব্য রাখেন।
জাতিসংঘে বক্তব্য রাখা, বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ছাড়াও এবার প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসের আহবানে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে এক বৈঠকে যোগ দেবেন।
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর সম্মানে জাতিসংঘ সদর দফতরের উত্তর লনে ইউএন গার্ডেনে একটি বেঞ্চ উৎসর্গ করবেন। একই দিন বিকালে তিনি ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেবেন।
২১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে সাধারণ বিতর্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আয়োজিত ব্যবসায়ীদের একটি গোলটেবিল বৈঠকেও অংশ নেবেন। শেখ হাসিনা ২২ সেপ্টেম্বর বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এর মাঝে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন এবং বক্তব্য রাখবেন। একই দিন তিনি ‘‘হোয়াইট হাউস বৈশ্বিক কভিড-১৯ শীর্ষ সম্মেলন : মহামারীর সমাপ্তি, আরও ভালো অবস্থা গড়ে তোলা’’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। জাতিসংঘের অনুষ্ঠান ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি ওয়াশিংটন যাবেন। সেখানে এক সপ্তাহ অবস্থান করে দেশে ফিরবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী এবার তাঁর জন্মদিনে ওয়াশিংটনে থাকবেন। ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার পথে রওনা হবেন তিনি।
