দীর্ঘ দিনের চেষ্টার পরে নেপাল একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান গ্রহণ করল রবিবার। কিন্তু এমনকি কূটনৈতিক শিষ্টাচার মেনে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটিকে ভারত এ জন্য অভিনন্দন পর্যন্ত জানালো না। উল্টে নেপালে ভারতের রাষ্ট্রদূত রঞ্জিত রায় নেপালের প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালাকে বলে এসেছেন, নতুন সংবিধান নিয়ে নেপালের কয়েকটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর আপত্তিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল। ও দেশের ভারত-লাগোয়া সমভূমি এলাকায় যে অশান্তি চলছে সংবিধান নিয়ে, সে সম্পর্কে ভারতের উদ্বেগের কথাও জানিয়েছেন তিনি। এই অাপত্তির কথা আগে থেকেই জানিয়ে আসছিল ভারত। কিন্তু ভারতের মতামত উপেক্ষা করে যে ভাবে নতুন সংবিধান গ্রহণে সায় দিল ও দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি, তাতে অবাক ও উদ্বিগ্ন হয়েছে ভারত। নেপালের সংখ্যালঘু মদেশি ও থারু গোষ্ঠীগুলির আশা-আকাঙ্খা নতুন সংবিধানে প্রতিফলিত হয় নি বলেই ভারতের মত। নেপালের ৪০% মানুষই এই সংবিধানের বিরোধী বলে ভারতের দাবি।