ভারত জানিয়েছে, ভারত ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমেই ডোকালাম ইস্যুর সমাধান করার চেষ্টা করা হবে।
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র গোপাল বাগলে বলেছেন, আমাদের কূটনৈতিক মাধ্যম খোলা রয়েছে। দু'দেশেই একে অপরের দূতাবাস রয়েছে। ওই মাধ্যমগুলিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাগলে মনে করিয়ে দেন, সীমান্ত সমস্যার সমাধানের জন্য ভারত ও চীনের সংগঠিত ও পারস্পরিক সম্মত পন্থা রয়েছে।
সম্প্রতি জার্মানিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে হওয়া বৈঠকের উল্লেখ করে তিনি বলেন, হামবুর্গে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে কথা হয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ইস্যু উঠে এসেছে। যদিও ডোকালাম প্রসঙ্গ নিয়ে দু'জনের মধ্যে কথা হয়েছে কি না সে বিষয়ে তিনি জানাননি।
প্রসংগত বলা যেতে পারে এর আগে ভারতের বিদেশসচিব এস জয়শঙ্করের বক্তব্যেও একই কথা শোনা গিয়েছিল। এক আলোচনাসভায় অংশ নিতে গিয়ে সিঙ্গাপুরে তিনি বলেন, (ভারত-চীন) দীর্ঘ সীমান্ত। অথচ, তার কোন অংশই মাটিতে টানা নেই। ফলে, সময়ে-সময়ে মতভেদ আসতেই পারে।
জয়শঙ্কর মনে করিয়ে দেন, এই প্রথম নয় যে ভারত ও চীনের মধ্যে সীমান্ত সমস্যা দেখা দিল। তিনি বলেন, অতীতে একাধিকবার এধরনের সমস্যার সমাধান করেছে দুই দেশ।
উল্লেখ করা যেতে পারে গত একমাস ধরে সিকিম সেক্টরে চীন-ভুটান-ভারত সীমান্ত লাগোয়া ডোকালামের আধিপত্য নিয়ে দু'দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে উভয় দেশ একে অপরকে দোষারোপ-পাল্টা দোষারোপ করে চলেছে।