অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশী বাবা ও জাপানী মায়ের সঙ্গে আপাতত এক বাসায় থাকবে দুই শিশু


ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে এরিকোর দুই শিশু কন্যা
ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে এরিকোর দুই শিশু কন্যা

ঢাকার গুলশান আবাসিক এলাকার ভাড়া করা একটি ভাড়া বাসায় বাংলাদেশী বাবা ও জাপানী মায়ের সঙ্গে থাকবে দুই শিশু। বাসা ভাড়া বাবা মা দুই জনকেই পরিশোধ করতে হবে। মঙ্গলবার বিচারপতি ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন। এর আগে আদালত দুই শিশু জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনার সঙ্গে ৩০ মিনিট আলাদাভাবে কথা বলেন এবং তাদের মতামত নেন। আদালত তাদের কাছে জানতে চান, তারা কার কাছে থাকতে চায়। আদালত শিশুদের বাবা মা ও তাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। সবার মতামত শোনার পর আদালত রায় ঘোষনা করেন। রায় অনুযায়ী শিশুরা আগামী ১৫ দিন বাবা মায়ের সঙ্গে থাকবে গুলশানের বাসায়। ১৫ দিন পর আদালত পরবর্তী আদেশ দেবেন। তবে বাবা মায়ের মাঝে সমঝোতা হলে তারা আদালদের কাছে হাজির হয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে পারবেন যেকোন সময়ে।

গুলশানের বাসায় থাকাকালে শিশু ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ও তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পারিবারিক বিরোধে যাতে সংঘাত না হয় সমাজসেবা অধিদফতরের ঢাকার উপ পরিচালক তা নিশ্চিত ও সবকিছুর তত্ত্বাবধান করবেন। জাপানী এই দুই শিশুকে নিজেদের কাছে রাখা নিয়ে তাদের বাবা মায়ের অনেক দিন থেকে চলে আসা বিরোধ প্রথম মামলায় গড়ায় জাপানে। শিশুদের মা এরিকো নাকানো ও বাবা বাংলাদেশী আমেরিকান ইমরান শরীফ পারিবারিক বিরোধের পর জাপানের আদালতে আইনী লড়াইতে নামেন। দুই জনই শিশুদের নিজের কাছে রাখা নিয়ে কঠোর অবস্থান নেন। জাপানের আদালতে একটি রায়ে প্রাথমিক জয় নিয়ে ইমরান শরীফ তিন শিশুর দুইজনকে নিয়ে ঢাকা নিয়ে চলে আসেন। এরপর শিশুদের মা জাপান থেকে ছুটে আসেন ঢাকায়। তিনি আদালতের কাছে দুই মেয়েকে ফেরত চান। এই পরিস্থিতিতে ২৩ আগস্ট উচ্চ আদালত দুই জাপানি শিশুকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উন্নত পরিবেশে রাখার নির্দেশ দেন। এ সময়ে প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত মা ও বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বাবা শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাতেন। আদালতের নির্দেশে উভয়পক্ষের আইনজীবীরা বারবার সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

মঙ্গলবার সকালে সিআইডি শিশুদের আদালতে নিয়ে আসে। এরপর তাদের বাবা মা তাদের মতো করে আদালতে উপস্থিত হন। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে রায় দেন। আদালতের পরবর্তী শুনানি অনুষ্টিত হবে ১৬ সেপ্টেম্বর। তবে এর আগে উভয় পক্ষের কোন সমঝোতা হলে আদালতকে তারা তা অবহিত করতে পারবেন।

XS
SM
MD
LG