করোনা মহামারীর এই অকালে মানুষের মধ্যে ভীতি, আতংক, উদ্বেগ, ভবিষ্যৎ-ভাবনা আর স্বজন হারানোদের বেদনা, আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীনদের ও তাদের আপনজনের উৎকণ্ঠাসহ সব মিলিয়ে পুরো বাংলাদেশের জন্য এ এক ভিন্ন ঈদ, ছিল যেন এক অচেনা দিন।
এমন ঈদুল ফিতর আর কখনো দেখেনি কেউ। সামাজিক দূরত্ব যেন নিয়ে গেছে মানুষগুলোকেও- আনন্দ-উৎসব পালন থেকে যোজন যোজন দূরে। মানুষের আর উদযাপনের সুযোগ নেই, এতো শুধু দিন যাপনের।
করোনার কারণে লন্ড-ভন্ড অর্থনীতি, মানুষের জীবন-জীবিকা, সমাজ, মানুষের মনোজগত, মন:স্তত্ত্ব। আবার এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য এসেছে বাড়তি এক মহাবিপদ।
সমাজের অধিকাংশের জন্য ঈদ তাই আনন্দের না হয়ে দিয়েছে এক অন্য বাস্তবতা। ঢাকার কয়েকজন সাধারণ মানুষে বলছিলেন এসব কথাই।
বাংলাদেশের উপকূলের বিশাল এক এলাকা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত। ঘর-বাড়ি ভেঙ্গেছে। এখনো পানিতে তলিয়ে আছে ফসলের ক্ষেত। এ অবস্থায় কেমন হয়েছে ঈদ উদযাপন উপকূলের অসংখ্য ওই মানুষের জন্যে?
করোনাকালের সামগ্রিক ভিন্নতার অন্য এক ঈদ উদযাপনের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করেছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় গবেষণা সংস্থা বিআইডিএস-এর ঊর্ধ্বতন গবেষক, অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ।
সবাই চাইছেন এমন ভিন্নতার ঈদ যেন আর না আসে। সবারই প্রত্যাশা, অচিরেই যেন দূর হয় করোনার এই নিদারুণ দুঃসময়। সবাই যেন ফিরে পান আবার সেই সুস্থ্য-স্বাভাবিক দিনগুলো। তারা অচিরেই যেন পেয়ে যান- ভিন্ন এক সুসময়ের সকাল -দিন- রাত্রি।