সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কূটনৈতিক চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে লেখা নোট ভারবালের কথা উল্লেখ করে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা ভারতকে অবহিত করেছি।”
এদিকে একইদিনে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, "আমাদের সঙ্গে ভারতের বন্দী বিনিময় চুক্তি আছে। ওই চুক্তি অনুযায়ী হবে।"
গত ১২ নভেম্বর শেখ হাসিনাসহ পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির অনুরোধ জানিয়ে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ময়নুল ইসলামকে চিঠি দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তি রয়েছে।
পলাতক অপরাধীদের দ্রুত হস্তান্তর করার সুবিধার্থে ২০১৬ সালের জুলাইতে বাংলাদেশ ও ভারত তাদের দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির ১০(৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করে।
৫ আগস্ট পদত্যাগের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। এর পর শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।