করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে খুলছে বাংলাদেশের সব স্থলবন্দর। স্বাভাবিক হচ্ছে মানুষ ও পণ্য চলাচল। সীমিত পরিসরে চালু হওয়া ছয়টি স্থলবন্দর ১৬ই সেপ্টেম্বর থেকে তাদের কার্যক্রম পুরোপুরি আগের মতোই শুরু করেছে। এ ছাড়া আগামি রবিবার থেকে অন্য পাঁচটি স্থলবন্দর পরীক্ষামূলকভাবে পূর্ণ কর্মঘণ্টায় তাদের নিয়মিত কার্যক্রম শুরু করবে। দেশি বিদেশি সব নাগরিককে যাত্রার আগে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা আরটিপিসিআর টেস্ট সার্টিফিকেট সঙ্গে রাখতে হবে। পাশাপাশি টিকা নেওয়া থাকলে কোনো কোয়ারেন্টিন লাগবে না। আগের মতো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ কিংবা বাংলাদেশ দূতাবাসগুলো থেকে এনওসি বা অনুমতি পত্রও আর লাগবে না।
ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন জানায়, যাত্রী চলাচলের জন্য সীমিত পরিসরে চালু হওয়া বেনাপোল, আখাউড়া, হিলি, বুড়িমারী, দর্শনা ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর বৃহস্পতিবার থেকে নিয়মিত কর্মঘণ্টায় চলছে। এ ছাড়া ১৯শে সেপ্টেম্বর থেকে শেওলা, তামাবিল, বাংলাবান্ধা, ভোমরা এবং বিরল স্থলবন্দর দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে নিয়মিত কর্মঘণ্টা ও দিবসে যাত্রী চলাচল শুরু হবে।
স্থলবন্দরগুলো দিয়ে যাত্রী চলাচলে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। বাংলাদেশে প্রবেশকালে দেশি-বিদেশি সব নাগরিকের বাধ্যতামূলকভাবে ৭২ ঘণ্টার ভিতরে আরটিপিসিআর করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। রিপোর্ট যাচাইয়ের জন্য অবশ্যই কিউআর কোড যুক্ত থাকতে হবে।
দ্বিতীয় ডোজ টিকা সম্পন্নকারী দেশি-বিদেশি যাত্রীদের টিকা কার্ড বা টিকা সম্পন্নের উপযুক্ত প্রমাণপত্র এবং আরটিপিসিআর নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখানোর পর হোম কোয়ারেন্টিনের দরকার হবে না। তবে বাংলাদেশ সরকারের দৈনন্দিন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী।
স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসার সময় দেশি-বিদেশি নাগরিকদের মধ্যে কেউ যদি টিকা সম্পন্ন না করেন অথবা ৭২ ঘণ্টা মেয়াদের আরটিপিসিআর টেস্ট করে না আসেন তাহলে বাংলাদেশে প্রবেশের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিজ খরচে আরটিপিসিআর টেস্ট করতে হবে। টেস্টের ফলাফলের ওপর নির্ভর করে কোয়ারেন্টিন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের টিম।