ওষুধের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক কমাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেছেন, "দেশের সার্বিক অবস্থা স্বাভাবিক রাখতেই বিভিন্ন খাতে শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়। তবে ওষুধের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছিলাম। আশা করি অর্থ মন্ত্রণালয় তা বিবেচনা করবে।"
চিকিৎসা খাতে যেসব সংকট আছে তা নিরসনে কাজ চলছে বলে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
সংস্কার কমিটির প্রতিবেদনের পর দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিগত বছরগুলোতে দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আন্দোলনে যারা আহত, নিহত হয়েছেন এবং সে সময় যারা গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন তাদের ত্যাগকে সব সময় মনে রাখারও আহ্বান জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
এর আগে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ায় সরকার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এতে দৈনন্দিন জীবনযাত্রার খরচ আরেক দফা বেড়ে যেতে পারে সাধারণ মানুষের। যেমন মুঠোফোন সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে কথা বলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ বাড়বে। আবার পোশাক–পরিচ্ছেদের দামও বাড়তে পারে ভ্যাট বৃদ্ধির কারণে।
এছাড়া মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে মিষ্টি, ওষুধ, এলপি গ্যাস, ফলের রস, ড্রিংক, বিস্কুট, চশমার ফ্রেম, সিগারেটসহ নানা পণ্যের।
গত ৯ জানুয়ারি রাতে এ–সংক্রান্ত দুটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশ দুটি হলো— মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ এবং দি এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫।
তবে এই ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের ওপর তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে সরকার।