অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

ট্রাম্পকে ২০২০ সালের নির্বাচনী মামলায় দোষী সাব্যস্ত করার মতো যথেষ্ঠ তথ্য প্রমাণ ছিলঃ স্পেশাল কাউন্সেল রিপোর্ট


ফাইল ছবি - প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ (২০২৩)
ফাইল ছবি - প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ (২০২৩)

মঙ্গলবার দিনের শুরুতে কংগ্রেসের কাছে জমা দেওয়া একটি প্রতিবেদনে স্পেশাল কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ জানান, তার কাছে ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্প বাইডেনের কাছে হেরে যাওয়ার পর ফলাফল পরিবর্তনের প্রচেষ্টার অভিযোগে প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত জন্য যথেষ্ঠ তথ্য-প্রমাণ ছিল।

স্মিথ বলছেন, যখন ট্রাম্প বুঝতে পেরেছিলেন যে তিনি হেরে গেছেন এবং আইনি উপায়ে এই ফলকে প্রশ্নবিদ্ধ করার আর কোনো উপায় নেই, তখন তিনি “ক্ষমতায় থেকে যাওয়ার জন্য ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি ফৌজদারি অপরাধ করেছেন”।

স্মিথ বলছেন, ট্রাম্প তার ব্যক্তিগত সক্ষমতা ব্যবহার করে, নির্বাচনের অন্যতম প্রার্থী হিসেবে এবং বেশ কয়েকজন সহ-ষড়যন্ত্রকারীর সহায়তায় এসব পদক্ষেপ নেন এবং “যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব ব্যবহার করে তার এই উদ্যোগকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার” চেষ্টা করেন।

ট্রাম্প বারবার অন্যায় করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন এবং বিশেষ কাউন্সেলের উদ্যোগকে রাজনৈতিক মদদপুষ্ট বলে অভিহিত করেছেন।

তিনি মঙ্গলবার দিনের শুরুতে এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর তার নিজস্ব ট্রুথ সোশালে পোস্ট করে প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি স্মিথকে “একজন বুদ্ধিহীন কৌঁসুলি” হিসেবে অভিহিত করেন।

২০২৪ সালের নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসকে পরাজিত করার পর আগামী সপ্তাহে নতুন মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে অভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন ট্রাম্প। ২০২৪ সালের নির্বাচনী প্রচারণায় ২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের বিষয়টি ট্রাম্প অস্বীকার করেন। হ্যারিসের সঙ্গে সেপ্টেম্বরের বিতর্কেও তিনি একই কথা বলেন।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ স্মিথের প্রতিবেদনের যে অংশে ট্রাম্পের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার উদ্যোগের বিষয়টি বর্ণনা করা হয়েছে, সে অংশটি জনসম্মুখে প্রকাশ করার অনুমতি পায়। যুক্তরাষ্ট্রের জেলা জজ আইলিন ক্যানন বিচার বিভাগকে অনুমোদন দেওয়ার পর মঙ্গলবার প্রতিবেদনের ওই অংশটি প্রকাশিত হয়।

বিচারপতি ক্যাননকে ট্রাম্প নিয়োগ দিয়েছিলেন। এর আগে তিনি (ক্যানন) স্মিথের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশের উদ্যোগে বাধা দিয়েছিলেন। ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়ে দেওয়ার পর অবৈধভাবে গোপন নথি ধরে রেখেছিলেন, এমন অভিযোগের বিষয়ে ওই প্রতিবেদনে একটি অংশ রয়েছে, যা প্রকাশ করা হয়নি।

স্মিথ এই দুই অভিযোগেই ট্রাম্পকে বিচারের আওতায় আনতে চেয়েছিলেন। উভয় ক্ষেত্রেই কোনো অন্যায় করার বিষয়টি অস্বীকার করেন ট্রাম্প।

বিচারক ক্যানন গোপন নথির মামলাটি জুলাইতে খারিজ করেন। তিনি রায় দেন, স্মিথের নিয়োগ অবৈধ ছিল।

জুলাইতে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, প্রেসিডেন্টরা আনুষ্ঠানিক আদেশের ওপর ভিত্তি করে আনা অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পান। এই যুক্তির বলে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের মামলায় স্মিথের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়।

ট্রাম্প, হ্যারিসকে হারানোর পর বিচার বিভাগ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে উভয় মামলা খারিজ করে। এ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন আমেরিকান নেতার বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম না চালানোর দীর্ঘদিনের নীতিমালার বরাত দেয় আদালত।

এই প্রতিবেদনে কিছু তথ্য এপি ও রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।

XS
SM
MD
LG