ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে কাজ করা মধ্যস্থতাকারীরা একটি চুক্তির দিকে অগ্রসর হয়েছেন। সোমবার আলোচনার সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ কথা জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান রবিবার সিএনএনের ‘ স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন’ অনুষ্ঠানে বলেন, গাজায় ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা লড়াই বন্ধ করতে এবং সেখানে আটক বাকি ৯৮ জন জিম্মিকে মুক্ত করা সংক্রান্ত একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর 'খুব কাছাকাছি' রয়েছে দুই পক্ষ।
চলমান আলোচনা নিয়ে রবিবার বাইডেন নেতানিয়াহুর সাথে আলোচনা করেছেন।
রবিবার হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত বছর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদিত একটি কাঠামোর ভিত্তিতে দুই নেতা যুদ্ধ বিরতি ও জিম্মি মুক্তির চুক্তি নিয়ে আলোচনা করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, “লেবাননের যুদ্ধ বিরতি চুক্তির পর পরিবর্তিত আঞ্চলিক পরিস্থিতি, সিরিয়ায় আসাদ সরকারের পতন এবং ওই অঞ্চলে ইরানের শক্তি দুর্বল হয়ে পড়া নিয়ে” আলোচনা করেছেন বাইডেন। গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি এবং চুক্তির অধীনে যুদ্ধ বন্ধের মাধ্যমে ও মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির মাধ্যমে জিম্মিদের প্রত্যাবর্তনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলের প্রতি আজীবন সমর্থন এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও জাতীয় প্রতিরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের অসামান্য সমর্থনের জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান নেতনিয়াহু।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ শুক্রবার কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সাথে বৈঠকের পর নেতানিয়াহুর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
ইসরায়েল এবং হামাস কীভাবে তাদের মধ্যকার সবচেয়ে বড় ব্যবধান দূর করবে তা পরিষ্কার নয়। তাদের আগের দফার আলোচনায় হামাসের বক্তব্য ছিল, তারা যুদ্ধের অবসান চায়। অন্যদিকে ইসরায়েল বলছে, যতক্ষণ পর্যন্ত হামাস গাজা শাসন করবে এবং ইসরায়েলিদের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে ততক্ষণ তারা যুদ্ধ সমাপ্ত করবে না।
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
ভয়েস অফ আমেরিকার হোয়াইট হাউস ব্যুরো প্রধান প্যাটসি উইদাকুয়াসোয়ারা এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন। এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।