বুধবার ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, গাজার উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে।
এর মধ্যে একটি হামলা গাজার উত্তর অঞ্চলে জাবালিয়া এলাকায় একটি বাড়িতে আঘাত হেনেছে এবং অপরটি গাজা ভূখণ্ডের কেন্দ্রস্থলে বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে আঘাত হানে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোন মন্তব্য না করলেও বুধবার সকালে বুরেইজ এলাকা থেকে লোকজনকে সরে যেতে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, সেখানে অবস্থানরত জঙ্গিরা রকেট নিক্ষেপ করছে।স
ইসরায়েল বারবার গাজার কিছু অংশ থেকে লোকজনকে সরে যেতে বলেছে। সামরিক বাহিনী বলছে, হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে নিরাপদে যুদ্ধ চালানোর জন্য তাদেরকে সরিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো ইসরায়েলি কৌশলের সমালোচনা করে বলে, লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার আদেশের পর প্রায়ই সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসাধারণ সরে যাওয়ার জন্য খুব কম সময় পায়। তিনি বলেন, বিমান হামলা ও ইসরায়েলি স্থল অভিযান থেকে বাঁচতে গাজায় যাওয়ার মত তাদের নিরাপদ জায়গা নেই।
২০২৩ সালে অক্টোবরে হামাস জঙ্গিরা ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালিয়ে ১২০০ জনকে হত্যা করে এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করে। এর ফলে গাজায় যুদ্ধ শুরু হয়। গাজায় প্রায় ১০০ জনকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে, যাদের অন্তত এক-তৃতীয়াংশ মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গাজায় ইসরায়েলের পাল্টা হামলায় অন্তত ৪৫ হাজার ৫০০ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ১ লাখ ৮ হাজার জনের বেশি আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় তাদের গণনায় জঙ্গি ও বেসামরিক নাগরিকের মধ্যে পার্থক্য করে না।
এই যুদ্ধ গাজার বিস্তীর্ণ এলাকা মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে এবং প্রায় ২৩ লাখ মানুষের ৯০ শতাংশকে বাস্তুচ্যুত করেছে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।