জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের ছেলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীর সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর পরিবর্তে তাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে তার বরখাস্তের আদেশ প্রমার্জনা করে এর পরিবর্তে ২০০৯ সালের ২৪ জুন থেকে ভূতাপেক্ষভাবে ‘অকালীন (বাধ্যতামূলক) অবসর’ প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত তারিখ থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আযমীকে প্রযোজ্য সব ধরনের আর্থিক ও অন্য সুযোগ সুবিধাসহ বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ইতিপূর্বে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ২০০৯ সালের ২৩ জুন জারি করা তাকে বরখাস্তের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করা হয়েছে।
২০১৬ সালের ২৩ অগাস্ট আবদুল্লাহিল আমান আযমীকে গুম করা হয় বলে তাদের পরিবারের অভিযোগ। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে ওই দিন রাতে সেনাবাহিনীর সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সময়ে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্বজনেরা ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার কচুক্ষেতে সমবেত হয়ে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা পরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) ‘আয়নাঘরের বন্দীদের’ মুক্তির দাবি জানান। এর পরই তিনি মুক্ত হয়ে ফিরে আসেন।
জাতীয় সংগীত নিয়ে আযমীর মন্তব্য
আবদুল্লাহিল আমান আযমী ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে অনলাইনে যুক্ত হয়ে গোপন বন্দিশালায় ৮ বছর আটকে থাকার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। কীভাবে তাকে আটক করা হয়, তার সঙ্গে কেমন আচরণ করেছিল সাদা পোশাকের বিশেষ বাহিনী।
এ সময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদের 'প্রকৃত' সংখ্যা ও জাতীয় সংগীতের প্রাসঙ্গিকতা নিয়েও কথা বলেন তিনি।
আমান আযমী জাতীয় সংগীত পরিবর্তনের দাবি করে বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত যেন নতুন করে লেখা হয়। বর্তমানে যে জাতীয় সংগীত চলছে, তা করেছিল ভারত। দুই বাংলাকে একত্র করার জন্য করা হয়েছিল এই জাতীয় সংগীত। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। তাই বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত নতুনভাবে হওয়া উচিত।
জাতীয় সংগীত নিয়ে আমান আযমীর বক্তব্যে নানা প্রতিক্রিয়া হয়।