মঙ্গলবার বিষাক্ত ধোঁয়াশা ভারতের রাজধানীকে ঢেকে দিয়েছে। শীতের আগে কিছু অঞ্চলে বায়ুর গুণমানকে “গুরুতর” পরিসরে নিয়ে গেছে। ঠান্ডা বাতাস দূষণ ধরে রাখে এবং শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা বৃদ্ধি করে।
ধোঁয়া, নির্গমন এবং ধূলিকণার মিশ্রণ নয়াদিল্লির কর্তৃপক্ষের জন্য প্রতি বছরের সমস্যা। নির্মাণকাজের ধুলো এবং পার্শ্ববর্তী উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় খামারের আগুনের ধোঁয়া দূষণের মূল কারণ।
ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রক জানায়, আগামী ছয়দিনের পূর্বাভাসঃ বায়ুর গুণমান ‘খুব খারাপ’ থেকে ‘গুরুতর’র মধ্যে থাকতে পারে।
মন্ত্রক জানায়, ভারতের শীর্ষ দূষণ কর্তৃপক্ষের রাখা বায়ু মানের সূচকে শহরের সামগ্রিক স্কোর ৩৮৪-এ “খুব খারাপ” এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সেখানে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
৪০১ থেকে ৫০০-র একটি সূচক পরিসীমা “গুরুতর” বিভাগে পড়ে, যা বোঝায় বায়ু সুস্থ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তবে যারা ইতোমধ্যেই রোগাক্রান্ত তাদের জন্য এটি আরও গুরুতর।
মন্ত্রকের তথ্য বলছে, গত তিন দিনে খামারের আগুন ক্রমবর্ধমানভাবে দূষণ বাড়িয়ে তুলেছে। সোমবার দূষণের পরিমাণ ছিল ২৩ শতাংশের বেশি, শনিবার তা ছিল প্রায় ১৫ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ (সিপিসিবি) জানায়, মঙ্গলবার শহরের ৩৯টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে প্রায় এক-তৃতীয়াংশে ৪০০-র বেশি ‘গুরুতর’ স্কোর দেখা গেছে।
সুইস গ্রুপ আইকিউএয়ার প্রতিবেশী পাকিস্তানের লাহোরের পরে মঙ্গলবার দিল্লিকে বিশ্বের দ্বিতীয় দূষিত শহর হিসেবে রেট দিয়েছে। সেখানকার কর্তৃপক্ষ রবিবারের নজিরবিহীন দূষণের মাত্রার প্রেক্ষিতে জরুরি ব্যবস্থা নিয়েছে।
লাহোরের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পাঞ্জাবের সরকার ভারত থেকে আসা দূষণের জন্য বায়ুর মানের অবনতিকে দায়ী করেছে। বিষয়টি তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমের তাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে উত্থাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।