পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ রবিবার জানিয়েছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বালুচিস্তান প্রদেশে দুটি নৈশ হামলায় সন্দেহভাজন বিদ্রোহীরা কমপক্ষে সাতজন শ্রমিককে হত্যা এবং বন্দুক ঠেকিয়ে আরও ২০ জনকে অপহরণ করেছে।
জঙ্গি তৎপরতায় জর্জরিত এই প্রদেশের পাঞ্জগুর ও মুসাখাইল জেলায় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এই প্রদেশের জনসংখ্যা কম কিন্তু প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ।
পুলিশ বলেছে, শনিবার মাঝরাতের দিকে পাঞ্জগুরে একটি বাড়িতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা এবং মোটরসাইকেলে চেপে পালানোর আগে তারা এই বাড়ির বাসিন্দাদের উপর গুলিবৃষ্টি করে।
পুলিশ আরও যোগ করেছে, বন্দুকের গুলিতে এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন এবং নির্যাতিতরা পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে আসা শ্রমিক।
দ্বিতীয় হামলার ঘটনা ঘটে রবিবার সকালে, যখন মুসাখাইলে গ্যাস ও তেল অনুসন্ধানকারী একটি সংস্থার চত্বরে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি ঢুকে পড়ে।
স্থানীয় সহকারী পুলিশ কমিশনার ধীরাজ কালরা ভিওএ-কে ফোনে বলেন, আততায়ীরা গুলি চালায়, সরঞ্জাম ভাঙচুর করে, ২০ জন শ্রমিককে জিম্মি করে নেয় এবং তারপর পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, “অপহৃত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে এই এলাকায় এখন সন্ধান অভিযান চালানো হচ্ছে।”
দুটি হামলারই দায় তাৎক্ষণিকভাবে কেউ স্বীকার করেনি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই সহিংসতার নিন্দা করেছেন এবং প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষকে দুষ্কৃতিদের আইনের আওতায় আনতে সব রকম প্রচেষ্টার নির্দেশ দিয়েছেন। ইসলামাবাদে তার দফতর থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে।
গত মাসের শেষের দিকে মুসখাইলের বিদ্রোহীরা পাঞ্জাব থেকে আসা ২৩ জন যাত্রীকে ট্রাক ও যাত্রীবাহী গাড়ি থেকে টেনে বের করে হত্যা করে। এই ব্যক্তিরা বালুচিস্তানে কাজ করতে এসেছিলেন।
বালুচ লিবারেশন আর্মি বা বিএলএ-সহ বেশ কয়েকটি এথনিক বালুচ গোষ্ঠীর অভিযোগ, কেন্দ্র সরকার এই প্রদেশের প্রাকৃতিক সম্পদকে শোষণ করছে। এই গোষ্ঠীগুলির দাবি, তাদের সহিংস কর্মকাণ্ডের লক্ষ্য হল বালুচিস্তানের স্বাধীনতা।