রাশিয়ায় হামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সরবরাহ করা অস্ত্র ব্যবহারের উপর বিধিনিষেধ শিথিল করতে ইউক্রেনের জোরালো চাপের মধ্যে শুক্রবার বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কির স্টারমার।
হোয়াইট হাউস তার নীতি পরিবর্তনের দিকে অগ্রসর হতে পারে এমন লক্ষনের মধ্যে এই আলোচনা হচ্ছে। এছাড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে দিয়েছেন যে, ইউক্রেনের দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবহার নেটোকে মস্কোর সাথে যুদ্ধে ফেলবে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির কিয়েভ সফরের সময় রাশিয়ার অভ্যন্তরের লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে পশ্চিমা সরবরাহকৃত দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের জন্য তাদের আহ্বান পুন্ররব্যক্ত করেন।
ব্লিংকেনের বক্তব্য
ব্লিংকেন বলেন, বাইডেন ও স্টারমার তাদের সফরের সময় বিষয়টি নিয়ে যে আলোচনা করবেন সে বিষয়ে তার ‘কোনো সন্দেহ নেই’। তিনি উল্লেখ করেন, রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রের কৌশল পরিবর্তিত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র মানিয়ে নিয়েছে এবং ‘প্রয়োজন অনুযায়ী সমন্বয় করবে।’
গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে রাশিয়ার ভূখণ্ডের একটু ভেতরে আমেরিকা সরবরাহকৃত অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার আগে ব্লিংকেন যা বলেছিলেন, তার সাথে এই ভাষার মিল রয়েছে। সংঘাত আরও বাড়তে পারে এমন উদ্বেগের কারণে দূরত্বটি মূলত আন্তঃসীমান্ত লক্ষ্যবস্তুতে সীমাবদ্ধ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের দুজন কর্মকর্তার মতে, যদিও বিষয়টি নেতাদের এজেন্ডার শীর্ষে থাকবে বলে ধারনা করা হচ্ছে, তবে এ সপ্তাহের সফরে বাইডেন এবং স্টারমার কোনো নীতিগত পরিবর্তনের ঘোষণা দেবেন বলে মনে হচ্ছে না।
ব্লিংকেন ছাড়াও বাইডেনও ইঙ্গিত দিয়েছেন, একটি পরিবর্তন হতে পারে। ইউক্রেনের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা শিথিল করতে তিনি প্রস্তুত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে এ সপ্তাহের শুরুতে সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় তিনি বলেন, “আমরা এখন এটা নিয়ে কাজ করছি।”