ভারতের কলকাতায় শিক্ষানবিশ একজন চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় চিকিৎসকদের বিক্ষোভ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার পর মঙ্গলবার ভারতের বেশ কয়েকটি শহরে হাসপাতাল পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।
নিহতের জন্য ন্যায়বিচার এবং সকলের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থার দাবিতে এবং একটি সরকারি হাসপাতালে হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাতে সোমবার কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে হাজার হাজার চিকিৎসক মিছিল করে।
শুক্রবার ৩১ বছর বয়সী ওই চিকিৎসককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ জানায়, তাকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছিল। পরে এই অপরাধের সাথে সম্পৃক্ততার জন্য একজন পুলিশ স্বেচ্ছাসেবককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গণমাধ্যম জানায়, মঙ্গলবার যখন পশ্চিমাঞ্চলীয় মহারাষ্ট্র রাজ্যের আট হাজারের বেশি সরকারি চিকিৎসক জরুরি পরিষেবা ব্যতীত হাসপাতালের সমস্ত পরিষেবা বিভাগে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়, তখন বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
রয়টার্স টেলিভিশনের সম্প্রচারিত ছবিতে দেখা যায়, রাজধানী নয়াদিল্লীতে সাদা কোট পরা জুনিয়র ডাক্তাররা বিরাট একটি সরকারি হাসপাতালের বাইরে বিক্ষোভ করছে। তারা “ডাক্তাররা পাঞ্চিং ব্যাগ নয়” লেখা পোস্টার প্রদর্শন করেন।
হাসপাতাল সেবা ব্যাহত
গণমাধ্যম জানায়, সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্মৌ এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় পর্যটন কেন্দ্র গোয়ার মতো শহরে একই ধরনের বিক্ষোভ কিছু হাসপাতাল সেবা ব্যাহত করে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডার সাথে বৈঠকের আগে প্রকাশিত এক চিঠিতে দেশের সর্ববৃহৎ চিকিৎসকদের গ্রুপ ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলে, "ক্লান্তিকর এবং একঘেয়ে কাজের পরিবেশ, অমানবিক কাজের চাপ এবং কর্মক্ষেত্রে সহিংসতা- এগুলোই বাস্তবতা।"
আইএমএ-র সাধারণ সম্পাদক অনুল কুমার জে নায়েক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানায়, তাঁর গোষ্ঠীর তরফ থেকে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা বৃদ্ধির আবেদন জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
কলকাতার একটি উচ্চ আদালত আদেশ দেয়, ফৌজদারি তদন্তটি ভারতের ফেডারেল পুলিশ, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এতে মনে হচ্ছে, কর্তৃপক্ষ এই মামলাকে জাতীয় অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করছে।