তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ের হত্যাকাণ্ডের পর শুক্রবার কাতারে তার দাফনের কথা রয়েছে। ইসরায়েলকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হচ্ছে। তার মৃত্যু আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধির আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক প্রধান হানিয়ে হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ের অন্যান্য সদস্যদের সাথে দোহায় বসবাস করতেন।
কাতারের রাজধানী লুসাইলের উত্তরে একটি কবরস্থানে গ্যাস সমৃদ্ধ আমিরাতের বৃহত্তম মসজিদ ইমাম মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহাবে জানাজা শেষে তাকে দাফন করার কথা।
সিরিয়া, লেবানন, ইরাক এবং ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে গাজা যুদ্ধের সময় আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলা কয়েকটি ঘটনার মধ্যে তার হত্যাকাণ্ড একটি। তার হত্যাকাণ্ডের ফলে প্রতিশোধের আহ্বান জানানো হয়।
‘ক্ষোভ প্রকাশ’
শুক্রবার তুরস্ক ও পাকিস্তান হানিয়ের সম্মানে একদিনের শোক ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে দাফনের তারিখের সাথে মিলিয়ে হামাস “প্রচন্ড ক্রোধের দিন” ঘোষণা করেছে।
হানিয়ের হত্যাকান্ড এবং গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের প্রতিবাদে শুক্রবার জুমার নামাজের পর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীটি “সকল মসজিদ থেকে... তীব্র ক্ষোভের মিছিল উৎসাহিত করে”।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ৭ অক্টোবর গাজায় হামলা চালানোর প্রতিশোধ হিসেবে হামাসকে ধ্বংস করার অঙ্গীকার করেছেন।
‘উচ্চ মূল্য’
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে হানিয়ের কফিন দোহায় পৌঁছায়। তারা দোহার শোর-হাগিং কার্নিশ রোড দিয়ে অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা বাহিনীর গাড়িসহ একটি কনভয়ের যাওয়ার ছবি প্রকাশ করে।
হানিয়া গাজায় সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, মধ্যস্থতাকারী কাতারের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন। কাতার মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি কয়েক মাস ধরে পর্যার আড়ালে আলোচনার নেতৃত্ব দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, তিনি এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা সম্পর্কে ‘অত্যন্ত উদ্বিগ্ন’। তিনি আরও বলেন, হানিয়াকে হত্যা এই পরিস্থিতির জন্য “সহায়ক নয়।”
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।