অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কোটা আন্দোলনঃ মোবাইল ফোনের ফোর-জি সেবা চালু, বন্ধ থাকছে সামাজিক মাধ্যম

০৭:২২ ২২.৭.২০২৪

সহিংসতার জন্য 'স্বাধীনতা-বিরোধীদের' দায়ী করে সরকারের বিবৃতি

বাংলাদেশ সরকার রবিবার এক বিবৃতিতে বলেছে দেশে চলমান সহিংসতা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সহযোগীরা যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, সরকার তা আমলে নিয়েছে। তবে সরকারের বিবৃতিতে সহিংসতার জন্য “স্বাধীনতা-বিরোধী,” “রাষ্ট্র-বিরোধী” এবং “ধর্মীয় উগ্রবাদী” গোষ্ঠীকে দায়ী করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয় সরকার আস্থাবান যে, ছাত্রদের চাহিদা এবং সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করে অচলাবস্থার অবসান ঘটানো যাবে। চলমান ঘটনাবলী বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

“বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য আমাদের বিদেশি বন্ধুদের সমর্থন এবং সহযোগিতা আমরা কৃতজ্ঞতার সাথে মূল্যায়ন করি। উন্নয়নের অর্জন নিরাপদ রাখতে সরকার, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং মিত্র রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে সান্ধ্য আইন জারী এবং প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য সেনা বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে,” বিবৃতিতে জানানো হয়।

ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সরবরাহ করা বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার আন্দোলনকারীদের দাবী বিবেচনা করার সদিচ্ছা প্রকাশ করেছিল, বিশেষ করে জাতির উদ্দেশ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের মাধ্যমে। সরকারি চাকুরীতে কোটা সম্পর্কে সরকারের অবস্থান ছাত্রদের দাবীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল।

“দুখের বিষয়, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চরম ধৈর্য প্রদর্শনের পরও, বিএনপি-জামাতসহ স্বাধীনতা-বিরোধী, রাষ্ট্র-বিরোধী এবং ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে তা সহিংসতার দিকে নিয়ে যায়,” বিবৃতিতে বলা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, সহিংসতা এবং মৃত্যু তদন্ত করার জন্য সরকার একজন হাই কোর্ট বিচারকের অধীনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ছাত্রদের সাথে তাদের দাবী নিয়ে আলোচনার জন্য একটি মন্ত্রী পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয় যারা শনিবার রাতে এক দফা আলোচনা করে।

কিন্তু, সরকার দাবী করে, “বিএনপি-জামায়ের নেতৃত্বে উগ্রবাদীরা” ছাত্রদের হাত থেকে আন্দোলন দখল করে এবং “হত্যা, অগ্নিসংযোগ এবং ভাংচুর সহ তাদের পুরানো কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়।”

“কোন উস্কানি ছাড়াই, তারা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করে যার মধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার, জাতীয় টেলিভিশন, মেট্রো রেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে; তারা ফায়ার ব্রিগেড এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়িসহ শত শত সরকারি এবং বেসরকারি যানবাহন পুড়িয়ে দেয় এবং একটি জেলখানা ভেঙ্গে ধর্মীয় চরমপন্থি আর দাগী আসামিদের পালাতে সহায়তা করে,” বিবৃতিতে বলা হয়।

বিবৃতিতে সহিংসতায় প্রাণহানির কোন পরিসংখ্যান দেয়া হয় নি, যদিও স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ১০০’র বেশি মানুষ নিহত হবার খবর দিয়েছে।

০৭:৫২ ২২.৭.২০২৪

জাতিসংঘ ও বিশ্ব নেতাদের কাছে তাদের ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু করার আহ্বান জানালেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস

নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস রবিবার জাতিসংঘ ও বিশ্ব নেতাদের কাছে (বাংলাদেশে) আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধের জন্য তাদের ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকার কারণে ইউনূস সেন্টারের বদলে প্রটেক্ট ইউনূস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে তিনি এই বিবৃতি প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, "যারা প্রতিবাদ করার অধিকার প্রয়োগ করছে তাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বন্ধ করার জন্য আমি বিশ্ব নেতা এবং জাতিসংঘকে তাদের ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু করার আহ্বান জানাচ্ছি। ইতিমধ্যে যে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তার তদন্ত হওয়া উচিত।"

ছাত্র ও আরও যারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছে তাদের উপর ছাত্রলীগ, পুলিশ এবং বর্ডার গার্ড হামলা চালিয়েছে...এর ফলে এপর্যন্ত অন্তত দুইশ জন নিহত এবং সাতশ'র মতো মানুষ আহত হয়েছেন, বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেট এবং টেলিফোন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তাই নাগরিকরা এই আবেদনের কথা শুনবে না বা বিশ্ব নেতাদের কাছে তাদের নিজস্ব আবেদন পেশ করতে সক্ষম হবে না।

০৮:৩২ ২২.৭.২০২৪

প্রথম আলোর সোমবারের ছাপা সংস্করণে বলা হচ্ছে বিক্ষোভে নিহতদের মোট সংখ্যা অন্তত ১৭৪ 

বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর সোমবারের (২২ জুলাই) ছাপা সংস্করণে বলা হয়েছে, এ সপ্তাহের সহিংসতায় এখনও পর্যন্ত অন্তত ১৭৪ জন মারা গেছে।

প্রথম আলো তাদের প্রতিবেদনে দাবী করেছে, রবিবার রাত থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ মিডিয়াকে মৃতের সংখ্যা জানাচ্ছে না।

১৭:১৫ ২২.৭.২০২৪

ঢাকায় ৫০০'রও বেশি গ্রেফতার

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সরকার চাকরির কোটার বিরুদ্ধে বিক্ষোভের কারণে কয়েকদিনের সংঘর্ষে কয়েকজন বিরোধী নেতাসহ ৫০০ জনেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, পুলিশ সোমবার জানিয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ফারুক হোসেন বলেছেন, "সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ৫৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"

তিনি আরও বলেন, "রাজধানীতে অশান্তির সময় অন্তত তিনজন পুলিশ নিহত হয়েছেন এবং প্রায় এক হাজার আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অন্তত ৬০ জনের অবস্থা গুরুতর।"

বিরোধী দলের কথা উল্লেখ করে তিনি যোগ করেন, "তাদের মধ্যে বিএনপির কিছু নেতাও রয়েছে।"

(এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এএফপি থেকে নেয়া হয়েছে।)

আরও লোড করুন

XS
SM
MD
LG