আদালতের রায় 'অস্পষ্ট'; সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে আইন পাশের দাবি কোটা আন্দোলনকারীদের
কোটা সংস্কার নিয়ে আদালতের রায় 'অস্পষ্ট' বলে মনে করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
এতে করে জনমনে বিভ্রান্তির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলেও মনে করেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫৯ জন সমন্বয়ক এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, "এখানে সকল প্রকার কোটার বিষয়ে সুস্পষ্ট সমাধান নেই। ভবিষ্যতে কোটার পরিমাণ নিয়ে সরকারের যথেচ্ছ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।" এজন্য এক সপ্তাহের মধ্যে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডেকে স্থায়ী ব্যবস্থা হিসাবে এ সংক্রান্ত আইন পাশ করার দাবি জানান তারা।
তারা আরও বলেন, "সর্বোচ্চ আদালত রায় দিলেও সরকার ছাত্র-জনতার হত্যার দায় এড়াতে পারে না।" প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছাত্র হত্যার দায় নিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের দল ও মন্ত্রী পরিষদ থেকে পদত্যাগের দাবীতে তাদের চলমান শাটডাউন কর্মসুচি অব্যাহত থাকবে বলেন জানান তারা।
সেই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে থেকে গত কয়দিনে যারা মারা গেছেন তাদের জন্য সোমবার বাদ- জোহর দেশব্যাপী গায়েবানা জানাজার কর্মসুচীও ঘোষণা করা হয়।
সীমান্তে প্রযুক্তি এবং জনবলও বাড়ানো হয়েছেঃ বিএসএফ
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছেঃ ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর ইন্সপেক্টর জেনেরাল প্যাটেল পুরুশোত্তাম দাস বলেছেন, “প্রতিবেশি দেশে যখনই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, সেটার প্রভাব আমাদের উপরেও পরে। আমরা সতর্ক আছি। আমাদের প্রস্তুতি বৃদ্ধি করেছি। আমাদের সকল কমান্ডিং অফিসার সীমান্তে গেছেন এবং পরিস্থিতির তদারকি করছেন। সীমান্তে প্রযুক্তি এবং জনবলও বাড়ানো হয়েছে। আমরা উদ্ভূত যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করবো।”
বিদেশী কূটনীতিকদের ব্রিফ করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রবিবার (২১ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিদেশী কূটনীতিকদের দেশের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করে যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ সকল দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদ কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করেন যে চলমান পরিস্থিতি দ্রুতই স্বভাবিক হয়ে যাবে। তিনি চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কূটনীতিকদের উদ্বেগের বিষয়টি সরকারের জ্ঞাত আছে বলে তাদের জানান।
একই সঙ্গে তিনি ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বিধানের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর বলেও উল্লেখ করেন।
ঐ বৈঠকে তিনি দাবী করেন, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে স্বাধীনতা-বিরোধী, রাষ্ট্র-বিরোধী এবং বিভিন্ন দুষ্কৃতিকারী মহল ঢুকে পড়ে সরকারি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনিষ্ট করছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘অসহায় মানুষ’ সাহায্য চাইলে আশ্রয় দেবেন
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রবিবার (২১ জুলাই )বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে কেউ তাঁর রাজ্যে আসলে তিনি আশ্রয় দেবেন। কলকাতায় তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের এক সভায় তাঁর বক্তব্য উদ্ধৃত করে একাধিক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বিষয়টি জানিয়েছে।
“আমি বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য করতে পারবো না, যেহেতু সেটা আলাদা দেশ। যা বলা প্রয়োজন, তা ভারত সরকার বলবে। এইসব বিষয় ভারত সরকার দেখা-শোনা করে,” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন।
“তবে যদি কোন অসহায় মানুষ বাংলার দুয়ারে আসেন, আমরা তাদের আশ্রয় দেব কারণ জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবেশী অঞ্চল বিপদগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করতে পারে।"
“আমি সবাইকে উস্কানি এড়ানোর জন্য বাংলাদেশ নিয়ে কোন মন্তব্য না করার আহ্বান জানাচ্ছি। যারা রক্তপাতে ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের জন্য আমাদের সমবেদনা এবং সহানুভূতি রয়েছে,” পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য মন্ত্রী বলেন।