নরসিংদী জেলা কারাগারের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে: তদন্ত কমিটির প্রধান
নরসিংদী জেলা কারাগার পরিদর্শন করে সুরক্ষা সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব এবং তদন্ত কমিটির প্রধান ফারুক আহমেদ বলেন, "নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলার দিন যারা প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলেছি।"
তিনি বলেন, "ইতোমধ্যে আমাদের মাঠ পর্যায়ের কাজ অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।"
রবিবার (২৮ জুলাই) তদন্ত কমিটির প্রধান ফারুক আহমেদসহ ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল কারাগার পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান বলেন, কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, "প্রয়োজন হলে আরও সময় বাড়ানোর আবেদন করা হবে। তদন্ত শেষে আরও বিস্তারিত বলা যাবে।"
এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত কারাগারটি ঘুরে দেখেন এবং প্রত্যক্ষদর্শী, কারা-কর্মকর্তা ও রক্ষীদের সঙ্গে কথা বলেন।
রবিবার সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল হওয়ায় স্বাভাবিক হচ্ছে নরসিংদীর লোকজনের চলাফেরা। অফিস আদালত খোলার দিনে নরসিংদীর বিভিন্ন পয়েন্টে সাধারণ মানুষের চলাফেরা এবং গণপরিবহনের আধিক্য লক্ষ্য করা গেছে। শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কারাগারে বাড়তি নিরাপত্তায় স্থাপন করা হয়েছে বিজিবি ক্যাম্প।
(এই প্রতিবেদনের তথ্য ইউএনবি থেকে নেয়া হয়েছে।)
‘কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন’, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান
বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। রবিবার (১৮ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এ পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ রয়েছেন।”
মৃতের সংখ্যা নির্ধারণে আরো খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। “নিহতদের মধ্যে কতজন নারী, কত জন পুরুষ এবং বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন, তা নির্ধারণে পুলিশ কাজ করছে;” আরো জানান তিনি।
প্রথম আলো তাদের অনলাইন সংস্করণে (২৭ জুলাই) বলছে তাদের হিসাব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ২১০।
এএফপি বার্তা সংস্থা ২৮ জুলাইয়ের প্রতিবেদনে বলছে, সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা অন্তত ২০৫ জন।
রয়টার্স বার্তা সংস্থা তাদের ২৬ তারিখের প্রতিবেদনে বলেছে মৃতের সংখ্যা অন্তত ১৫০।
আবু সাঈদসহ ৩৪ জন নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী
সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রাণ হারানো রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ ৩৪ জনের পরিবারকে রবিবার (২৮ জুলাই) আর্থিক সহায়তা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এসময় কোটা সংস্কার আন্দোলনে দেশব্যাপী সহিংসতার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার অঙ্গীকার করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, "এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। তাদের অবশ্যই শাস্তি হবে।"
শেখ হাসিনা দেশে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি রোধে দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।
তিনি শোকাহত পরিবারগুলোকে ধৈর্য ধরার এবং এ ধরনের বর্বরতা থেকে রক্ষার জন্য প্রার্থনা করার আহ্বান জানান।
রিজভী, পরওয়ার ও নুরসহ ৮ জনের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ৮ জনের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে ঢাকার একটি আদালত।
রবিবার (২৮ জুলাই) ঢাকার কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় দায়ের করা মামলায়, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম শুনানি শেষে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অন্য পাঁচ অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন; বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সদস্য সচিব আমিনুল হক, বাগেরহাট জেলা শাখার আহবায়ক এমএ সালাম ও বিএনপির সমর্থক মাহমুদুস সালেহীন।
এর আগে, শুক্রবার (২৬ জুলাই) মামলার তদন্ত-কর্মকর্তা, পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান মুন্সী তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখান এবং তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আদালত শুনানির জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন।
ভিপি নুর সেতু ভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় এবং রিজভী পল্টন মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে আটক রয়েছেন। অপর ছয় অভিযুক্ত ব্যক্তি বিটিভি ভবনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে রয়েছেন।
এর আগে, গত ২২ জুলাই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের এমআরটি লাইন-৬ এর উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. ইমাম উদ্দীন কবীর বাদী হয়ে কাফরুল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তিনি অজ্ঞাতনামা ৫-৬ হাজার মানুষকে অভিযুক্ত বলে উল্লেখ করেন।
এ মামলায় গ্রেপ্তার ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ ওরফে সাঈদ খানসহ ছয়জন পাঁচ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরোবিয়া খানমের আদালত শুনানি শেষে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
(এই প্রতিবেদনের তথ্য ইউএনবি থেকে নেয়া হয়েছে।)