ভিডিওঃ চার দফা দাবীতে মঙ্গলবার ৪৮ ঘণ্টার নতুন আল্টিমেটাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
চার দফা দাবী নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) ৪৮ ঘণ্টার নতুন আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম ও অন্যান্য সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।
চার দফা দাবী হলো...
- ইন্টারনেট সচল করা
- কারফিউ তুলে নেয়া
- নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
- ক্যাম্পাস ও হল খুলে দেয়া ও সেখান থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সরিয়ে নেয়া
সম্মেলনে তারা আরও বলেন, "চার দফা পূরণ হলেই কেবল তাদের মুল আট দফা দাবী নিয়ে আলোচনার পথ তৈরি হবে, কিন্তু সরকার চার দফা না মানলে আট দফা দাবী নিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই।"
সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৫৭ জন বাংলাদেশির 'আপত্তিকর দ্রুত' বিচারের নিন্দা জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ৫৭ জন বাংলাদেশির বিচারকে ঘিরে “ন্যায়বিচারকে পরিহাসজনক” করে তোলার জন্য আমিরাতের প্রশাসনকে বুধবার অভিযুক্ত করেছে। উপসাগরীয় এই দেশে বিক্ষোভ করার জন্য এই বাংলাদেশিদের দীর্ঘমেয়াদি কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত হল সাতটি শেখ-রাজত্বের একটি জোট। এই দেশে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ নিষিদ্ধ। দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়ার পর রবিবার আমিরাত বাংলাদেশিদের সাজা ঘোষণা করেছে।
গোটা আমিরাত জুড়ে শুক্রবার বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করার জন্য আবুধাবির এক আদালত তিনজন বাংলাদেশিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও বাকিদের ১০-১১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
নিউইয়র্ক-ভিত্তিক এইচআরডব্লিউ “আপত্তিজনকভাবে দ্রুত বিচারিক কার্যক্রম”কে সমালোচনা করে বলেছে, তারা “ন্যায্যতা ও যথাযথ প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ” উত্থাপন করেছে।
এইচআরডব্লিউ-এর আমিরাত গবেষক জোয়ি শিয়া বলেন, এই সাজা ঘোষণা “ন্যায়বিচারকে পরিহাসের” পাত্রে পরিণত করেছে।
তিনি আরও যোগ করেন, “তদন্ত যেখানে শুরু হল, শেষ হল, বিচার চালু হল ও ৪৮ ঘন্টার কম সময়ে রায় বেরিয়ে গেল সেখানে বিবাদীদের ন্যায্য বিচার পাওয়ার কোনও পথ নেই।”
সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রশাসন বিক্ষোভকারীদের সম্পর্কে যৎসামান্য তথ্য প্রদান করেছে, তবে এইচআরডব্লিউ বলেছে, তাদের যাচাই করা একাধিক ভিডিওতে দেখা গেছে, আবুধাবি ও দুবাই-সহ বেশ কয়েকটি আমিরাতজুড়ে বড় মাপের বিক্ষোভ-আন্দোলন হয়েছে।
এইচআরডব্লিউ বলেছে, দুবাই মলের কাছে রেকর্ড করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, “শত শত, সম্ভবত হাজার হাজার, বিক্ষোভকারী রাস্তায় জড়ো হয়ে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের দেয়া স্লোগানের প্রতিধ্বনি করছে।”
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার প্রতিবাদে চলতি মাসে বাংলাদেশে বিক্ষোভের ঝড় বয়ে গেছে। সমালোচকরা বলছেন, এই সংরক্ষণ ব্যবস্থা স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমর্থকদের সুবিধা দিচ্ছে।
দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশে গত সপ্তাহে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা চলাকালে প্রায় প্রতিদিন বিক্ষোভ-মিছিল হয়েছে। এতে কমপক্ষে ১৮৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। পুলিশ ও হাসপাতালগুলি নিহতদের যে সংখ্যা জানিয়েছে তা গণনা করে এএফপি এমনটা জানিয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, পাকিস্তানি ও ভারতীয়দের পর বাংলাদেশিরাই সে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম প্রবাসী গোষ্ঠী।
তেল-সমৃদ্ধ গালফের এই দেশ অননুমোদিত বিক্ষোভ, শাসকের বিরুদ্ধে সমালোচনা নিষিদ্ধ করেছে। সামাজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বা একে উৎসাহিত করে এমন বক্তব্য প্রদানও নিষিদ্ধ সে দেশে।
মানহানি, সেই সঙ্গে মৌখিক ও লিখিত অপমান (প্রকাশিত হোক বা ব্যক্তিগতভাবে করা হোক) আইন দ্বারা শাস্তিযোগ্য।
এই দেশের দণ্ডবিধি পররাষ্ট্রকে আঘাত করা বা তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বিপন্ন করাকেও অপরাধ হিসেবে সাব্যস্ত করে।
ভিডিওঃ ৪ দিন পর বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ইন্টারনেট সংযোগ চালু হওয়ায় চার দিন পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বেনাপোল দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এবং বন্দর থেকে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়। এতে বন্দরে সহস্রাধিক পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে।’
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, "ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল চার দিন। তবে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকলেও অন্যান্য দিনের চেয়ে যাত্রী যাতায়াত ছিল অনেক কম।"
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, "চার দিন ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছিল বেনাপোল বন্দরের সব কার্যক্রম। তবে বুধবার সকাল থেকে ইন্টারনেট সংযোগ চালু হওয়ায় পুনরায় দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।"
বৃহস্পতিবার থেকে স্বল্প দূরত্বে চলবে কমিউটার ট্রেন
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) থেকে স্বল্প দূরত্বে কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মো. আরিফুজ্জামান।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, "আগামীকাল থেকে স্বল্প দূরত্বের রুটে একটি বা দুটি কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। বর্তমানে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু করতে সময় লাগবে।"
তিনি আরও বলেন, এছাড়া অনলাইনে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। তবে নেটওয়ার্ক বিঘ্নিত হওয়ার কারণে ট্রেন পরিষেবা দেরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও ঈশ্বরদী রুটে কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে এবং কর্তৃপক্ষ ঢাকা-জয়দেবপুর রুটে কমিউটার ট্রেন চালুর সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
বুড়িমারী কমিউটার ট্রেনটি লালমনিরহাট জেলা থেকে চলাচল করবে বলেও জানান অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
তিনি আরও বলেন, সোমবার থেকে পণ্যবাহী ট্রেন বা তেলবাহী ট্রেন চলাচল করছে।
(এই প্রতিবেদনের তথ্য ইউএনবি থেকে নেয়া হয়েছে।)