ভিডিওঃ বিটিভি ভবন পরিদর্শনে গেলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরাফাত
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বুধবার (২৪ জুলাই) কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বাংলাদেশ টেলিভিশন বা বিটিভি’র ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে যান।
পরিদর্শন শেষে তথ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সামনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তুলে ধরেন।
তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার বিটিভি ভবনে হামলা ও অগ্নিসংযোগের সময় ব্যাপক ভাঙচুর ও বহু মূল্যবান সম্পদ লুটপাট করা হয়েছে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এখন বিটিভি ভবন দেখে মনে হয় এটি একটি যুদ্ধক্ষেত্র। যারা গুরুত্বপূর্ণ এই ভবনে হামলা চালিয়েছে তারা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এটি করেছে।”
নাশকতাকারীদের শনাক্ত করতে জনসাধারণের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অগ্নিসংযোগ, ধ্বংসযজ্ঞ চালানো, নাশকতাকারী ও দুর্বৃত্তদের তথ্য বা ছবি বা ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করে জনগণের সহযোগিতা চেয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।
বুধবার (২৪ জুলাই) সংক্ষিপ্ত বার্তায় পুলিশ সদর দপ্তর জনসাধারণকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে।
পাশাপাশি নাশকতার ছবি বা ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহের ক্ষেত্রেও সহায়তা চেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সদর দপ্তর তথ্যদাতাদের পরিচয় গোপন রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করেছে।
(এই প্রতিবেদনের তথ্য ইউএনবি থেকে নেয়া হয়েছে।)
চট্টগ্রামে ২৭ মামলায় গ্রেফতার ৭০৩
কোটা আন্দোলন ঘিরে ভাঙচুর, হত্যাচেষ্টা, অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরণের ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন থানায় ২৭টি মামলা দাযের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৬ জুলাই রাত থেকে ২৪ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৭০৩ জনকে।
সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, "চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনে হত্যা, দাঙ্গা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নাশকতার ঘটনায় ১৬টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ জনসহ মোট ৩৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
(এই প্রতিবেদনের তথ্য ইউএনবি থেকে নেয়া হয়েছে।)
ভিডিওঃ বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ বিঘ্ন হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘বাংলাদেশজুড়ে চলমান টেলিযোগাযোগ ব্যাহত হওয়ার খবরে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এই পরিস্থিতি সেখানকার আমেরিকান নাগরিকসহ দেশটির জনগণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্যে প্রবেশাধিকার সীমিত করে দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, অন্যান্য দেশেও তারা এর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তারা এর বিরুদ্ধে কথা বলছেন।
এসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলে জানান মিলার।
এর আগে মিলার বলেন, তারা বাংলাদেশের ঘটনাগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা 'শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ' সমর্থন করে, কিন্তু সব ক্ষেত্রেই তা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা উচিত।