গণমাধ্যমে মৃতের সংখ্যা
বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো তাদের বুধবারের (২৪ জুলাই) ছাপা সংস্করণে বলেছে সাম্প্রতিক সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১৯৭ জন মারা গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে বলেছে মৃতের সংখ্যা প্রায় ১৫০।
বার্তা সংস্থা এএফপি বলছে তাদের হিসাব অনুযায়ী ১৮৪ জন মারা গেছে।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, “এখন পর্যন্ত হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত নয়। তবে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সরকার প্রতিটি ঘটনার বিচার করবে।”
সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে আ. লীগের নেতাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
দেশব্যাপী সাম্প্রতিক অস্থিরতা ও 'কমপ্লিট শাটডাউনে' ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের জনগণের পাশে দাঁড়াতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী এবং সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক বিবৃতিতে দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সহযোগী সংগঠন এবং দলের শুভাকাঙ্ক্ষীদের পাশাপাশি সচ্ছল জনগণের সহায়তা বাড়াতে আহ্বান জানান দলের সভাপতি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষ ও যারা দিন আনে দিন খায় তাদের আয় কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। নিম্ন আয়ের জনগণ বিশেষ করে রিকশাচালক, ভ্যানচালক, হকার, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুর, পরিবহন শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও এর সব সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের প্রতি আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি।’
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোভিড-১৯ মহামারির সময়ে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিল সেভাবেই এই সংকটময় সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলামের সই করা বিবৃতি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পাশাপাশি আমি সমাজের বিত্তবানদের তাদের এলাকার দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং মানবিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
(এই প্রতিবেদন ইউএনবি থেকে নেয়া হয়েছে।)
বাংলাদেশে পাঁচ দিন পর সীমিত পরিসরে খুলেছে ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি অফিস
- By ইউএনবি
বাংলাদেশে পাঁচ দিন পর সীমিত পরিসরে খুলেছে ব্যাংকসহ সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো। বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা চলে অফিস ও ব্যাংকের কার্যক্রম।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ব্যাপক সহিংসতা ঠেকাতে শুক্রবার (১৯ জুলাই) কারফিউ ও দেশব্যাপী তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে আরও একদিন বাড়ে সাধারণ ছুটি।
বুধবার সকালে রাজধানী ঢাকার সড়কগুলোতে ব্যক্তিগত যানবাহন ও গণপরিবহনের সংখ্যা কিছুটা কম দেখা গেলেও বিপুল পরিমাণে রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে।
অফিস কার্যক্রম চালু হওয়ায় এবং দোকানপাট খুলে দেওয়ায় মানুষের চলাচল বাড়ে। ঢাকা ফেরে স্বাভাবিক রূপে।
পাঁচ দিন বন্ধ থাকায় ব্যাপক ব্যবসায়িক লোকসানের পর দেশের পোশাক কারখানাগুলো আবার উৎপাদনে ফিরেছে।
আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার, রিফাত রশীদ এখনও নিখোঁজ
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার, রিফাত রশীদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের অন্যান্য সমন্বয়করা সাংবাদিকদের জানান ১৮ জুলাই থেকে তারা নিখোঁজ রয়েছেন।
মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে আসিফ মাহমুদের বাবা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেনবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম ও অন্যান্য সমন্বয়করা।
চার দফা দাবী নিয়ে মঙ্গলবার ৪৮ ঘণ্টার নতুন আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
চার দফা দাবী হলো...
- ইন্টারনেট সচল করা
- কারফিউ তুলে নেয়া
- নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
- ক্যাম্পাস ও হল খুলে দেয়া ও সেখান থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সরিয়ে নেয়া
সম্মেলনে তারা আরও বলেন, "চার দফা পূরণ হলেই কেবল তাদের মুল আট দফা দাবী নিয়ে আলোচনার পথ তৈরি হবে, কিন্তু সরকার চার দফা না মানলে আট দফা দাবী নিয়ে কথা বলার সুযোগ নেই।"