কোটা আন্দোলনঃ মোবাইল ফোনের ফোর-জি সেবা চালু, বন্ধ থাকছে সামাজিক মাধ্যম

পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার রাত থেকে বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হয়েছে।

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে ব্যাংক, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, সংবাদমাধ্যম ও কূটনৈতিক এলাকায় ইন্টারনেট চালু হচ্ছে।

মঙ্গলবার রাতের মধ্যেই ব্রডব্যান্ড চালু হচ্ছে বলে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

সেসময় তিনি বলেন পরীক্ষামূলকভাবে মঙ্গলবার রাতে ব্রডব্যান্ড চালু করা হবে এবং অগ্রাধিকারভিত্তিতে সব ওয়েবসাইট চালু হবে।

তিনি আরও জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি এবং মোবাইল ডাটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বুধবার।

বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ ছিল।

বাংলাদেশে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে তা নজিরবিহীন। এতে শতাধিক লোক নিহত হয়েছেন, যাদের বেশির ভাগই তরুণ ও কিশোর, অনেকেই শিক্ষার্থী। যদিও সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এ সম্পর্কে এক নির্দেশনা দিয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী কোটার অনুপাতে ব্যাপক সংস্কার আনার কথা বলা হয়েছে। সরকার এরই মধ্যে তার প্রতিফলনে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই কোটা আন্দোলন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য কতটা চ্যালেঞ্জ- এ নিয়ে ভয়েস অফ আমেরিকার সঙ্গে কথা বলেছেন ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজ। আর ওয়াশিংটন থেকে তাঁর সাক্ষাতকারটি নেন ভয়েস অফ আমেরিকার আনিস আহমেদ।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ-জামান সোমবার (২২ জুলাই) হেলিকপ্টারে ঢাকা পরিদর্শনে বের হন। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "জনগণের অনেক সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে। সেগুলোকে রক্ষা করার জন্য এবং জনগণের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আমাদেরকে (সেনাবাহিনীকে) নিয়োগ দেয়া হয়েছে।... জনগণের সম্পত্তির যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা আসলে অবর্নণীয়।"

তিনি সোমবার আরও বলেছেন দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি “নিয়ন্ত্রণের ভেতরে” নিয়ে আসা হয়েছে। গত কয়েকদিন ব্যাপক সহিংসতায় ১০০’র বেশি মানুষ মারা যাবার পর শুক্রবার রাতে সেনা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

সোমবার (২২ জুলাই) লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে বাংলাদেশে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করে প্রবাসীরা। কয়েক হাজার বাংলাদেশি সেই বিক্ষোভে যোগ দেন। পরে তারা মিছিল করে পার্লামেন্ট ভবন পর্যন্ত যান।