আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছেঃ নাহিদ ইসলাম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে রবিবার চোখ বাধা অবস্থায় রবিবার পাওয়া যায়।
তাঁর সাথে যোগাযোগ করা হলে ভয়েস অফ আমেরিকাকে তিনি অভিযোগ করেন গত পরশু রাতে রাষ্ট্রীয় কোন এক বাহিনী তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, "আমাকে নেওয়ার পরে আমার হাত ও পায়ে আঘাত করা হয়। সেখানে এখনও রক্ত জমাট (বেঁধে) আছে।" এখন তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান ।
তিনি আরও বলেন, "আমাকে নির্যাতন করার পরে আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আজ সকালে পুর্বাচল- আশুলিয়া এলাকায় একটি ব্রিজের পাশে নিজেকে আবিষ্কার করি।"
ভয়েস অফ আমেরিকাকে তিনি জানান, তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি নিজে দেখতে পাননি। তবে পরে যেই এলাকা থেকে তাঁকে তুলে নেয়া হয়, সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তিনি শুনেছেন সেখানে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। তাঁকে তুলে নেওয়ার পর যে বাড়িতে তিনি অবস্থান করছিলেন সেই বাড়িটি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর 'তত্ত্বাবধানে' ছিল বলেও দাবী করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, "...জিজ্ঞাসাবাদ খুব বেশিদূর এগোয়নি। আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে...আমি জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘অসহায় মানুষ’ সাহায্য চাইলে আশ্রয় দেবেন
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রবিবার (২১ জুলাই )বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে কেউ তাঁর রাজ্যে আসলে তিনি আশ্রয় দেবেন। কলকাতায় তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের এক সভায় তাঁর বক্তব্য উদ্ধৃত করে একাধিক ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম বিষয়টি জানিয়েছে।
“আমি বাংলাদেশ নিয়ে মন্তব্য করতে পারবো না, যেহেতু সেটা আলাদা দেশ। যা বলা প্রয়োজন, তা ভারত সরকার বলবে। এইসব বিষয় ভারত সরকার দেখা-শোনা করে,” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন।
“তবে যদি কোন অসহায় মানুষ বাংলার দুয়ারে আসেন, আমরা তাদের আশ্রয় দেব কারণ জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবেশী অঞ্চল বিপদগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করতে পারে।"
“আমি সবাইকে উস্কানি এড়ানোর জন্য বাংলাদেশ নিয়ে কোন মন্তব্য না করার আহ্বান জানাচ্ছি। যারা রক্তপাতে ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের জন্য আমাদের সমবেদনা এবং সহানুভূতি রয়েছে,” পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য মন্ত্রী বলেন।
বিদেশী কূটনীতিকদের ব্রিফ করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রবিবার (২১ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বিদেশী কূটনীতিকদের দেশের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করে যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ সকল দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ হাছান মাহমুদ কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করেন যে চলমান পরিস্থিতি দ্রুতই স্বভাবিক হয়ে যাবে। তিনি চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কূটনীতিকদের উদ্বেগের বিষয়টি সরকারের জ্ঞাত আছে বলে তাদের জানান।
একই সঙ্গে তিনি ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কূটনীতিকদের নিরাপত্তা বিধানের বিষয়ে সরকার বদ্ধপরিকর বলেও উল্লেখ করেন।
ঐ বৈঠকে তিনি দাবী করেন, চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে স্বাধীনতা-বিরোধী, রাষ্ট্র-বিরোধী এবং বিভিন্ন দুষ্কৃতিকারী মহল ঢুকে পড়ে সরকারি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনিষ্ট করছে।
সীমান্তে প্রযুক্তি এবং জনবলও বাড়ানো হয়েছেঃ বিএসএফ
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা থেকে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানাচ্ছেঃ ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর ইন্সপেক্টর জেনেরাল প্যাটেল পুরুশোত্তাম দাস বলেছেন, “প্রতিবেশি দেশে যখনই আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, সেটার প্রভাব আমাদের উপরেও পরে। আমরা সতর্ক আছি। আমাদের প্রস্তুতি বৃদ্ধি করেছি। আমাদের সকল কমান্ডিং অফিসার সীমান্তে গেছেন এবং পরিস্থিতির তদারকি করছেন। সীমান্তে প্রযুক্তি এবং জনবলও বাড়ানো হয়েছে। আমরা উদ্ভূত যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করবো।”