ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থা মঙ্গলবার জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর চাপের মুখে গত সপ্তাহে গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফা থেকে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে।
গাজার অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা রাফায় আশ্রয় নিয়েছে। অনেক ফিলিস্তিনি গাজার অন্যান্য অংশে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ থেকে পালিয়ে সেখানে গিয়েছিলেন।
ইউএনআরডব্লিউ বলে, “মানুষ প্রতিনিয়ত ক্লান্তি, ক্ষুধা ও ভয়ের মধ্যে রয়েছে। কোথাও কেউ নিরাপদ নয়। অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিই একমাত্র আশা।”
যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ ও অন্যরা রাফায় মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় ইসরায়েলকে পূর্ণ মাত্রায় হামলা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছে। তবে ইসরায়েলি নেতারা বলেন, রাফা হচ্ছে জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের শেষ শক্ত ঘাঁটি এবং গাজায় হামাসকে হুমকি হিসেবে নির্মূল করার লক্ষ্য অর্জনে অভিযান চালানো জরুরি।
জাতিসংঘের উপ-মুখপাত্র ফারহান হক সোমবার এক সংবাদ ব্রিফিং-এ বলেন, ছিটমহলে মানবিক সহায়তা বিতরণ বন্ধ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, “বন্ধ হয়ে যাওয়া রাফা ক্রসিং দিয়ে এখনো মানবিক পণ্যের কোনো যান চলাচল হচ্ছে না। এবং কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে এখনো নিরাপদ এবং যৌক্তিকভাবে কার্যকর প্রবেশের অভাব রয়েছে। আমরা ইরেজ ক্রসিং দিয়ে পণ্য আনার চেষ্টা করছি, তবে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ভ্রমণের পরিমাণ খুব কম।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সালিভান সোমবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন হামাসের সাথে যুদ্ধে গাজায় ফিলিস্তিনিদের হত্যাকাণ্ড গণহত্যা হিসেবে দেখে না।
সালিভান বলেন, “গাজায় যা ঘটছে তা গণহত্যা বলে আমরা মনে করি না। আমরা দৃঢ়ভাবে সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছি।”
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি, এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।