সোমবার কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভার্চুয়াল ক্লাসে অংশ নেয়।এর ফলে গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভের পর নিউইয়র্ক সিটি ক্যাম্পাসে উত্তেজনা প্রশমনের আশা করছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার এক বিবৃতিতে কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট নেমাত মিনুচে শফিক বলেন, সম্প্রতি ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া ইহুদিবিদ্বেষী ভাষা, ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানিমূলক আচরণের নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সশরীরে ক্লাস বাতিল করছে।
শফিক বলেন, “এসকল উত্তেজনা কলাম্বিয়ার সাথে যুক্ত নয় এমন ব্যক্তিদের দ্বারা এবং যারা তাদের নিজস্ব এজেন্ডা পূরণ করতে ক্যাম্পাসে এসেছেন তাদের দ্বারা ব্যবহৃত হয়েছে এবং বৃদ্ধি পেয়েছে।”
গাজায় ইসরায়েলি কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের একটি শিবির খালি করার জন্য শফিক নিউইয়র্ক পুলিশকে অনুমতি দেয়ার পরে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে ১০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনিপন্থী বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর অধিভুক্ত বার্নার্ড কলেজের অর্থোডক্স র্যাবাই এলি বুয়েকলার একটি অনলাইন বার্তায় শিক্ষার্থীদের বলেন, ক্যাম্পাস এবং সিটি পুলিশ ইহুদি শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে পারে না।
সপ্তাহান্তে পাসওভার পর্ব শুরুর আগে শত শত মানুষের কাছে পাঠানো এক হোয়্যাটসঅ্যাপ বার্তায় তিনি বলেন, “এটি বলতে আমার খুবই কষ্ট হচ্ছে যে আমি আপনাকে যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি ফিরে যাওয়ার এবং ক্যাম্পাস ও এর আশপাশের বাস্তবতার যথেষ্ঠ উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে অবস্থান করার পরামর্শ দিচ্ছি।”
৫০ বছরের বেশি সময় আগে এই কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছিল। বর্তমান বিক্ষোভ ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধির পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, সেতু এবং বিমানবন্দর বিঘ্নিত করে ধারাবাহিক বিক্ষোভের সর্বসাম্প্রতিক ঘটনা।
মানবাধিকার কর্মীরা ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইহুদি, আরব ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে পক্ষপাত ও ঘৃণা বৃদ্ধির কথা বলছেন।