সিআইএ-র পরিচালক বৃহস্পতিবার সতর্ক করেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে “২০২৪ সালের মধ্যে ইউক্রেনীয়রা হেরে যেতে পারে—এমন একটি বাস্তব ঝুঁকি রয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে জর্জ ডব্লিউ বুশ প্রেসিডেন্সিয়াল সেন্টারে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উইলিয়াম বার্নস বলেন, ইউক্রেনের “গোলাবারুদ ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের সাহায্য করার জন্য আমাদের সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে।” ইউক্রেনে বাড়তি সাহায্য আটকে রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের যে আইনপ্রণেতারা তাদের লক্ষ্য করে বার্নসের এই মন্তব্য।
সিআইএ পরিচালক আরও বলেন, “আমার মনে হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস থেকে অতিরিক্ত সাহায্য নিয়ে ইউক্রেন ২০২৪ সালে যুদ্ধক্ষেত্রে টিকে থাকতে পারবে” এবং ক্রাইমিয়া ও কৃষ্ণসাগর রণতরীর উপর “হামলা অব্যাহত রাখতে পারবে।”
বার্নস বলেন, সাহায্য ছাড়া “দৃশ্যটা অনেক বেশি ভয়াবহ।”
ওদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি তার সান্ধ্যকালীন ভাষণে বৃহস্পতিবার বলেন, চলতি মাসে ১০টি বোহদানা কামান তৈরির কাজে ব্যস্ত সামরিক বাহিনী। প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষেত্রে “এটা ভাল ফল।”
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আলোচনার বিষয় ছিল ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী জনগোষ্ঠী, তথ্য-ক্ষেত্র, ইউক্রেনের টেলিভিশন সিগনাল লাভ ও রুশ অপপ্রচার রোধ।
তিনি বলেন, ইউক্রেন ও তার সহযোগীরা রাশিয়ার কোনও রকম প্রভাবের পাল্টা জবাব দিতে ও প্রযুক্তিগত সমস্যা মোকাবেলা করতে “মিলিতভাবে কাজ” করবে।
রাশিয়ার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রুখতে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বারবার তাদের মিত্র দেশগুলির কাছে বাড়তি সামরিক সাহায্য, বিশেষ করে বিমান প্রতিরক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বলেছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পে চীনের সাহায্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের বিষয়টি উত্থাপন করবেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।