অডিসিয়াস বৃহস্পতিবার “তখনো চালু ছিল” তবে তা প্রায় বন্ধ হতে চলেছিল। বিজ্ঞানীরা তথ্য সংগ্রহের জন্য বহু মিলিয়ন ডলারের তাদের এই মিশন থেকে চূড়ান্ত সংকেতের দিকে নজর রেখেছিলেন।
মহাকাশযানটি এক সপ্তাহ আগে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেছিল। এর অপারেটররা আশা করেছিলেন এটি ১০ দিন পর্যন্ত চলতে পারে। কিন্তু বিরূপ একটি পার্শ্ববর্তী অবতরণ ব্যবস্থা যোগাযোগ বিঘ্নিত করে এবং এর সৌর চার্জারগুলোকে প্রভাবিত করে।
এ সম্পর্কে চূড়ান্ত ঘোষণাটি টেক্সাস-ভিত্তিক ইনটুইটিভ মেশিনস থেকে আসবে। সংস্থাটি নাসা রোবট ল্যান্ডার তৈরি করতে এবং চন্দ্র পৃষ্ঠে উড়িয়ে আনতে ১১ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার প্রদান করেছে। সকাল ১০:২০-এ ইনটুইটিভ বলেছিল, অডিসিয়াস এখনো কাজ করছে এবং যদি এটি হিমশীতল চন্দ্র রাতের মধ্যে দিয়ে তিন সপ্তাহের নিদ্রার পরে আরও সৌর শক্তি পায়, তাহলে ফ্লাইট কন্ট্রোলাররা অতিরিক্ত উপাত্ত ডাউনলোড করতে এবং ল্যান্ডারটিকে ‘ফোন হোম’এ কনফিগার করতে চায়।
নাসা বলেছে, তারা তার ছয়টি বৈজ্ঞানিক পেলোড থেকে কিছু তথ্য বের করতে সক্ষম হয়েছে। তবে সংস্থাটি এবং ছয়টি বাণিজ্যিক পেলোড কতটা তথ্য হারিয়েছে তা এখনো দেখার বিষয়।
৪ মিটার (১৩ ফুট) লম্বা নোভা-সি-ক্লাস ল্যান্ডারটি গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডায় নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্পেসএক্সের সরবরাহ করা ফ্যালকন ৯ রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হয়। ছয়দিন পর এটি চাঁদের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ শুরু করে।
ছয় পায়ের যানটি ১১ ঘণ্টার নেভিগেশনাল ত্রুটি এবং অবতরণের পরে ২২ ফেব্রুয়ারি চন্দ্র পৃষ্ঠে পৌঁছেছিল। অডিসিয়াস পাশের দিকে বা তীক্ষ্ণভাবে কাত অবস্থানে অবতরণ করে যাত্রা সমাপ্ত করেছিল যা তাৎক্ষণিকভাবে এর ক্রিয়াকলাপকে বাধাগ্রস্ত করেছিল।
ইনটুইটিভ মেশিনস পরের দিন বলেছিল, নেভিগেশনাল সমস্যার জন্য কোন মানুষের কোন ত্রুটি দায়ী ছিল না।