ভারতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন। তার আগে দেশের প্রধান বিরোধী দল তথা কেন্দ্রের বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক দল কংগ্রেসে প্রবীণ ও শীর্ষ স্থানীয় নেতৃত্ব দলত্যাগী হচ্ছেন। পশ্চিম ভারতের মহারাষ্ট্র্বে এই ঘটনার হার সবচেয়ে বেশি।
সোমবার ১২ জানুয়ারি ভারতীয় সময় সকালে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ ত্যাগ করেন অশোক চহ্বাণ। মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুন নারভেকরের সঙ্গে দেখা করে ইস্তফাপত্র তুলে দেন মহারাষ্ট্রের ভোকার কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক চহ্বাণ।
বিধায়ক হিসাবে ইস্তফা দেওয়ার সঙ্গেই সোমবার মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলেকে চিঠি দিয়ে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জানান যে কংগ্রেস ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি।
নতুন বছরের শুরুতে কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরা কংগ্রেস ছেড়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছেন।
সদ্য দল ছাড়ার ঘোষণা করেছেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সংখ্যালঘু নেতা বাবা সিদ্ধিকী। তিনি শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর এনসিপি, বিজেপি বা দুই গোষ্ঠীর শিবসেনার যে কোনও একটিতে যোগ দেবেন, এমন জল্পনা দেখা দিয়েছে।
এরই মধ্যে কংগ্রেস ছাড়লেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক চহ্বাণ।
অশোক চহ্বাণ বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন এমন জল্পনা দেখা দিয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। এরই মধ্যে মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা তথা উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, "অন্যান্য দলের অনেক নেতারাই বিজেপিতে যোগ দিতে মুখিয়ে আছেন। আগে আগে দেখিয়ে হোতা হ্যা কেয়া।"
২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অশোক চহ্বাণ। তার বাবা শঙ্কররাও চহ্বাণও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও দলীয় সংগঠনে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলিয়েছেন অশোক চহ্বাণ। মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
কী কারণে কংগ্রেস ছেড়েছেন, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি অশোক চহ্বাণ। তবে লোকসভায় প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলের সঙ্গে তার বেশ কয়েকদিন ধরে মতান্তর চলছিল। সেই কারণেই তার দলত্যাগ বলে মনে করছে কংগ্রেসের একাংশ।