লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিম ভারতের রাজ্য মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে জটিলতা দেখা দিয়েছে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীই আসল এনসিপি বা ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি। বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা তথা দলের প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ারের গোষ্ঠী নয়।
কংগ্রেস নেতা বসন্তদাদা পাটিলের শিষ্য ছিলেন শরদ পাওয়ার। রাজনীতির জীবনে মহারাষ্ট্রের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। তারপর সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্ব মানতে না চেয়ে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে নিজের দল জাতীয়তাবাদী বা ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি গড়ে তোলেন। অজিত পাওয়ার শরদ পাওয়ারের ভাইপো। এনসিপি-তে তিনি শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যেই ছিলেন।
২০২৩ সালের জুলাই মাসে ভেঙে যায় এনসিপি। কাকা শরদ পাওয়ারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে দল ভেঙেছিলেন অজিত পাওয়ার। শরদ পাওয়ার গোষ্ঠীর নেতারা বলেছিলেন, জেলযাত্রা থেকে বাঁচতেই অজিত দল ভেঙেছিলেন। বিজেপি এভাবেই আঞ্চলিক দল ভাঙার খেলায় নেমেছে।
অজিত পাওয়ার মহারাষ্ট্রে বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটে সামিল হওয়ার কিছুদিন আগে তাকে দুর্নীতিকাণ্ডে জেলে ঢোকানোর কথা বলেছিল বিজেপি শিবির। কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সি তাকে নোটিসও পাঠিয়েছিল। তারপর এনসিপি ছেড়ে বিজেপি জোটে যোগ দিয়ে অজিত পাওয়ার এখন মহারাষ্ট্রে বিজেপির একনাথ শিণ্ডে সরকারের অন্যতম চালিকাশক্তি হয়ে গেছেন।
এনসিপি-র নির্বচনী চিহ্ন হল ‘টেবিল ঘড়ি’। জাতীয় নির্বাচন কমিশন অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীকে আসল এনসিপি বলে দেওয়ায় এবার তারা সেই প্রতীকে লড়তে পারবেন। শরদ পাওয়ার বা তার কন্যাকে লোকসভা নির্বাচনে লড়ার জন্য অন্য কোনও চিহ্ন ভাবতে হবে।
এরমধ্যে রাজ্যসভার ভোট রয়েছে। তাই কমিশনের তরফে শরদ পাওয়ারকে বলা হয়েছে, তার রাজনৈতিক দলের নতুন নাম জানাতে। বুধবার ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল চারটের মধ্যে শরদ পাওয়ারকে সেই নাম জানাতে হবে।
কেন অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীকেই আসল এনসিপি বলে ঘোষণা করা হল, তার কারণ দেখিয়ে নির্বাচন কমিশন বলেছে, অজিত পাওয়ারের সঙ্গে বেশি সংখ্যক নির্বাচিত বিধায়ক রয়েছেন। তাই তাকে আসল এনসিপি বলে বিবেচনা করা হয়েছে।