অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিলকিস বানো মামলায় জেলে ফিরতে অতিরিক্ত সময়ের আবেদন সাজাপ্রাপ্ত তিন জনের


ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এবং বিলকিস বানো। প্রতীকী ছবি।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এবং বিলকিস বানো। প্রতীকী ছবি।

ভারতে ২০০২-এর গুজরাট সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় ১১ জন সাজাপ্রাপ্তর আগাম মুক্তি পাওয়ার সিদ্ধান্ত সম্প্রতি খারিজ করে দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।

দেশের শীর্ষ আদালত জানানো হয়েছিল, ১১ জন সাজাপ্রাপ্তকেই ফেরত যেতে হবে জেলে। কিন্তু সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৩ জন এখনই জেলে যেতে না চেয়ে আবেদন করেছেন সুপ্রিম কোর্টে।

এই মামলায় অপরাধীদের আগাম জামিন দেওয়ার প্রেক্ষিতে গুজরাট সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তাদের কীভাবে আগাম মুক্তি দেওয়া হয়েছিল সে নিয়ে প্রশ্ন তোলে দেশের শীর্ষ আদালত।

এখন এই সাজাপ্রাপ্তদের ৩ জন সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে জানিয়েছেন তাদের যেন জেলে ফেরত যাওয়ার দিন কিছুটা পিছিয়ে দেওয়া হয়। তাদের বক্তব্য, তারাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তাই তাদের যেন আরও ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়।

বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গুজরাট সরকার। তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছিল ২০২২ সালে।

গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বিলকিস বানো শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত রায় দেওয়ার পর ১১ জন আসামিকেই আগামী রবিবার ২১ জানুয়ারির মধ্যে জেলে ফেরত যেতে হবে।

আবেদনকারী ৩ জন সাজাপ্রাপ্তদের আইনজীবী বৃহস্পতিবার ১৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নগরথানার বেঞ্চে এই মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে।

শুক্রবার ১৯ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে যারা এই আবেদন করেছেন তারা হলেন গোবিন্দভাই, রমেশ চন্দনা এবং মিতেশ ভাট। গোবিন্দভাইয়ের আবেদন বৃদ্ধ বাবা-মার দেখভালের জন্য তাকে সময় দেওয়া হোক, রমেশ চন্দনার বক্তব্য ছেলের বিয়ের জন্য সময় চাই।

২০০২ সালে গুজরাট হিংসার সময় বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনকে ২০২২ সালের ১৫ অগাস্ট মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। গুজরাট সরকারের তরফে জানানো হয়, জেলে এই ১১ জন অপরাধীর ব্যবহার দেখেই তাদের মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কিন্তু বিলকিস বানো সুপ্রিম কোর্ট-এ এর বিরুদ্ধে আবেদন করলে আগাম মুক্তির আবেদন খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত, সাজাপ্রাপ্তদের ২১ জানুয়ারি জেলে ফেরত যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

XS
SM
MD
LG