অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

করোনার নতুন উপরূপের সংক্রমণ বাড়ায় পশ্চিমবঙ্গে মাস্ক পরার নির্দেশ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের


প্রতীকী ছবি।
প্রতীকী ছবি।

শনিবার ১৩ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়, কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬০৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। দেশে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৩৬৮ জন। তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ৪৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে আট জনের শরীরে করোনায় নয়া সংক্রমন জেএন.১ এর নমুনা পাওয়া গিয়েছে। সেই কারণে এবার কেন্দ্রের তরফেও এ বিষয়ে রাজ্যকে সতর্ক করা হল। কারণ, পশ্চিমবঙ্গেও মিলেছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্টের নমুনা।

নতুন সংক্রমণের হদিশ মেলার পরই এ ব্যাপারে নতুন করে রাজ্যকে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। জনবহুল এলাকায় মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি রাজ্যের প্রশাসনিক সদর দপ্তর নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে কোভিড প্রসঙ্গে রাজ্যবাসীকে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "ভিড়ের মধ্যে গেলে বা হাটে বাজারে গেলে মাস্ক পরুন।"

অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, "বাইরে থেকে অনেক মানুষ রাজ্যে আসেন। তাই বলছি ভয় না পেয়ে, আতঙ্ক না ছড়িয়ে, সাবধানতার জন্য মাস্ক পরুন।"

করোনার নতুন প্রজাতি নিয়ে বর্তমানে উদ্বেগ বেড়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা-সহ কিছু জেলায় করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ উপপ্রজাতির খোঁজ মিলেছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

কয়েক দিন আগে কলকাতায় ৬ মাসের একটি শিশুর শরীরে করোনার নতুন উপরূপের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে জেএন.১। শিশু ও বয়স্কদের বেশি সতর্কতা জরুরি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু জানাচ্ছে, পিরোলা অথবা BA.2.86-এর মিউটেশনের পরিবর্তিত রূপ হল JN.1। কোভিড ভ্যাকসিন এই প্রজাতির সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাই শিশুদের মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে বিশেষ সতর্কতা মেনে চলা জরুরি। রাস্তায় বেরোলে মাস্ক পরতে হবে, হাঁচি-কাশির সময় নাক-মুখ ঢেকে রাখা জরুরি, এখন অসুস্থ হলে বা উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশন-এ থাকতে হবে। টানা জ্বর, শ্বাসকষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখিয়ে নিতে হবে।

XS
SM
MD
LG